scorecardresearch
 

DA West Bengal Latest Update : 'ডিএ পাওয়ার পথ প্রশস্ত হল', ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা?

DA West Bengal News : রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) পাওয়ার পথ প্রশস্ত হল। দাবি সরকারি কর্মীদের একাংশের। মহামান্য হাইকোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছে ডিএ দিতে হবে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের। আর তা কেন্দ্রীয় হারে।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • 'রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) পাওয়ার পথ প্রশস্ত হল'
  • ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা?

রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) পাওয়ার পথ প্রশস্ত হল। দাবি সরকারি কর্মীদের একাংশের। মহামান্য হাইকোর্ট  আগেই নির্দেশ দিয়েছে, ডিএ দিতে হবে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের। আর তা কেন্দ্রীয় হারে। হাইকোর্টে ডিএ নিয়ে রাজ্যের পুর্নবিবেচনার আর্জি খারিজও হয়েছে। তারপরই সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি (Special Leave Petition) ফাইল করে রাজ্য। তবে তা ছিল ত্রুটিপূর্ণ। এরপর ৯ নভেম্বর হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা ওঠে। সেই মামলার ফের শুনানি আছে ৩০ নভেম্বর। রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির দাবি, ৩০ তারিখের সেই শুনানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মামলার আগেই রাজ্য সরকার বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে। 

কেন এই দাবি করছে সরকারি সংগঠনগুলি? 

কারণ ৯ নভেম্বর দেওয়া মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ। সেদিনের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়েছেন, ডিএ নিয়ে তাদের যে রায়, তা বাস্তবায়নের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করা যায় না। আবার নির্দেশে এও জানিয়েছেন, ডিএ সংক্রান্ত মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হলেও তার এখনও স্থায়ী নম্বর মেলেনি। তাই আদালত অবমাননার মামলা শুনতে কোনও বাধা নেই হাইকোর্টের। সেই মোতাবেক ৩০ নভেম্বর আদালত অবমাননার শুনানির পরবর্তী দিনও ধার্য করেন মাননীয় বিচারপতিদ্বয়।  

আরও পড়ুন : হাওড়া থেকে পুরী-সহ একাধিক ট্রেন বাতিল, রুটও বদল; বড় আপডেট

সরকারি কর্মচারিদের একাংশ মনে করছেন, এই ৩০ নভেম্বর তাই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। হয়তো তার আগেই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার। ঘোষণা করতে পারে ডিএ বা কোনও ইঙ্গিত দিতে পারে।

কেন তাঁরা এমন ভাবছেন? আইনজীবীদের একাংশের দাবি, ৯ নভেম্বরের শুনানিতে মহামান্য হাইকোর্ট জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী হাইকোর্ট আদালত অবমাননার মামলা শুনতেই পারে। অর্থাৎ রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা। যদি সরকার সুপ্রিম কোর্ট থেকে কোনও অর্ডার না নিয়ে আসতে পারে তাহলে মামলা উঠবে। সরকারি কর্মী সংগঠনগুলোর দাবি, সেদিনের শুনানিতে মাননীয় মুখ্যসচিব ও মাননীয় অর্থসচিবকে যেন শমন পাঠানো হয় সেই আর্জি মহামান্য বিচারপতিদের কাছে জানানো হবে। আইনজীবীদের একাংশের দাবি, মামলাকরী সংগঠনগুলি এই দাবি করতেই পারে। তবে রাজ্য সরকার হয়তো চাইবে না, এই পরিস্থিতি তৈরি হোক।  

Advertisement

আরও পড়ুন : নিম্নচাপ, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার বিরাট বদল; টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস

মামলাকারী সংগঠনগুলির মধ্যে সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন,'৩০ নভেম্বরের এই মামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিএ মামলায় রাজ্য সরকার এখন সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পড়েছে। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ মতো রাজ্যকে ডিএ কার্যকর করতেই হবে। আর ৯ নভেম্বরের শুনানিতে মহামান্য হাইকোর্ট কার্যত পরিষ্কার করে দিয়েছে, আদালত অবমাননা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনও স্টে অর্ডার না দিলে এই মামলা শুনতে তাদের আপত্তি নেই। সরকারের হাতে আর মাত্র সপ্তাহখানের বাকি আছে। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট থেকে এসএলপি কারেকশন করে তারিখ নিয়ে আসতে হবে। যা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। তাই রাজ্য সরকারকে হাইকোর্টের মুখোমুখি হতেই হবে।' 

দেবাশিস শীলের আরও সংযোজন,  'স্যাট আগেই নির্দেশ দিয়েছে, প্রভিডেন্ড ফান্ডের মাধ্যমে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ডিএ মিটিয়ে দিতে পারে। সরকার সে পথে হাঁটেনি। সেজন্য বারবার অপদস্থ হয়েছে। এই সরকার বিদ্যুৎ কর্মীদের ডিএ দেওয়ার জন্য তহবিল গঠন করেছে। তাদের বকেয়া মেটাচ্ছে। অথচ সরকারি কর্মীদের বকেয়া দিচ্ছে না।'

আরও পড়ুন : 'ডিএ পাওয়ার পথ প্রশস্ত হচ্ছে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের', মিলবে শিগগিরই ?

আর এক সংগঠন ইউনিটি ফোরামের তরফে দেবপ্রসাদ হালদার জানান, তাঁরা চাইবেন মহামান্য হাইকোর্ট অবিলম্বে রাজ্য সরকারের দুই শীর্ষ আমলা মাননীয় মুখ্য ও অর্থ সচিবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক। কারণ, বছরের পর বছর সরকারি কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছে। হাইকোর্ট রায় দিলেও তা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে সরকার। সুপ্রিম কোর্টেও তারা ভুল এসএলপি করেছে। শুধু সময় নষ্ট করার জন্য।  

 কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা চেয়েছিলাম মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হোক। তবে রাজ্য সরকার সময় অপচয় করার চেষ্টা করছে। সেজন্য ভুল এসএলপি জমা করেছে। মহামান্য হাইকোর্ট ৯ নভেম্বর যে রায় দিয়েছে তাতে সরকারি কর্মীরা খুশি। আবার ৩০ তারিখেও শুনানি আছে। আমরা সেই শুনানির দিকে তাকিয়ে আছি।' 

Advertisement