রাজ্যের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে বড় খবর। কেন্দ্রীয় সরকার পুজোর আগে ডিএ বাড়াবে। AICPI অনুযায়ী ডিএ বাড়ানোর কথা। রাজ্যের সরকারি কর্মীরাও কি পুজোর আগে ডিএ পাবে (West Bengal DA) ? এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। কারণ রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মচারীর আশা, পুজোর আগে হয়তো মহার্ঘ ভাতা বাড়াতে পারে সরকার।
এরমধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিল সরকারি কর্মীরা। পুজোর সময় এমনিতেই খরচ বাড়ে কম বেশি সবার। রাজ্য সরকারি কর্মীরাও ব্যতিক্রম নয়। সরকারের তরফে এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে তাঁরা এখন মরিয়া বকেয়া ডিএ পেতে। সেজন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজ্যের সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে। শহিদ মিনার চত্বরে ২০০-রও বেশি দিন ধরে অবস্থান চালাচ্ছে। তবে সরকার মুখ তুলে তাকায়নি সরকারি কর্মীদের দিকে। এবার সেই সংগঠনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কর্মবিরতির। অক্টোবরের ১০ ও ১১ তারিখ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ওই দুই দিন স্কুল কলেজ সহ বন্ধ থাকবে সব সরকারি দফতর।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'এই সরকারের কাছে সরকারি কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবি জানিয়ে আসছে। সরকার তাতে কর্ণপাত করছে। তবে আমরা চাই পুজোর আগেই ডিএ। তাহলে সরকারি কর্মী-শিক্ষকদের সুবিধা হবে। এই দাবি যাতে সরকার মানে সেজন্য সেজন্য লাগাতার কর্মসূচি রয়েছে আমাদের। সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে আমরা রাজ্যপালের কাছে দরবার করব। তারপর ১০ ও ১১ তারিখ কর্মবিরতি। সরকারি কর্মীরা আমাদের সঙ্গে আছেন। লাখ লাখ সরকারি কর্মী এই কর্মবিরতি পালন করবেন।'
প্রসঙ্গত, এখন রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের একাংশ।
কয়েকদিন আগেই ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, একাধিক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে দিয়েছে। রাজ্য সরকার বঞ্চিত হচ্ছে। তাঁর আরও দাবি, শুধু ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কর্মীদের ডিএ বাড়িয়ে দেয়। কেন্দ্রের হাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথায়, 'কেন্দ্রীয় সরকার শুধু ভোটের আগে তাদের কর্মীদের ডিএ বাড়িয়ে দেয়। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের চাকরি ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের চাকরির মধ্যে পার্থক্য আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির পলিসি আলাদা। রাজ্য সরকারের চাকরির পলিসিও আলাদা। কেন্দ্রের হাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে। কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে স্কলারশিপের টাকা দিচ্ছে না। রাস্তার টাকা দিচ্ছে না। সেই টাকা দিয়ে মুষ্টিমেয় লোককে ডিএ দিচ্ছ। উপরতলার মানুষদের সন্তুষ্ট করার জন্য।'
তবে মুখ্যমন্ত্রী একথা বললেও দমে যাওয়ার পাত্র নন সরকারি কর্মী ও শিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, পুজোর আগেই ডিএ তাঁরা আদায় করবেন।