Edible Oil Price Drop: মূল্যবৃদ্ধির জেরে হাঁসফাঁস দশা আম আদমির। ইতিমধ্যেই অনেকটা কমেছে ভোজ্য তেলের দাম। তা আরও কমতে পারে। কারণ পাম তেলের রফতানি বাড়ানোয় আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া। ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত পাম তেলের উপর রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার করে দেওয়া হয়েছে। বলে রাখি,দুনিয়ার সর্বোচ্চ পাম তেল রফতানিকারক দেশ ইন্দোনেশিয়া। বিদেশি বাজারেও কমেছে ভোজ্য তেলের দর। এমতাবস্থায় ৬ জুলাই দাম সংশোধনের জন্য বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্র। ভোজ্যতেল সংস্থার প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছিল ওই বৈঠকে। তাদের দাম কমাতে বলা হয়েছে।
বিদেশি বাজারে কমে গিয়েছে ভোজ্য তেলের দাম। যার প্রভাব খুচরো বাজারে পড়েনি। এখনও ভোজ্য তেল সস্তা হয়নি এ দেশে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সর্ষের বিশুদ্ধ ঘানি ও কাঁচা ঘানির দাম যথাক্রমে ২২৮০-২৩৬০ টাকা এবং ২৩২০-২৪২৫ টাকা প্রতি টিন (১৫ কেজি)।
তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়েছে, পাইকারি বাজারে দাম কমে গিয়েছে। ফলে সস্তায় তেল পাচ্ছেন ডিস্ট্রিবিউটরা। এর সুফল পাওয়া উচিত ক্রেতাদেরও। প্রতি লিটারে ১৫ টাকা করে দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে অনেকটা স্বস্তি পাবে সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার অশোধিত পাম তেলের উপর আমদানি শুল্ক প্রতি কুইন্টাল ১০০ টাকা কমিয়েছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে সয়াবিন তেল আমদানি শুল্ক প্রতি কুইন্টাল ৫০ টাকা কমেছে। পামোলিনে আমদানি শুল্ক কমেছে প্রতি কুইন্টাল ২০০ টাকা। বিদেশি বাজারে সয়াবিন তেল-তৈলবীজও সস্তা হয়েছে। মে মাসে ৬,৬০,০০০ টন পাম তেল আমদানি করেছে ভারত। এ দেশে বিশ্বের সর্বাধিক পাম তেল আমদানিকারক। ইন্দোনেশিয়া থেকে বছরে প্রায় 8 মিলিয়ন টন পাম তেল আসে। ভারতের বাজারে ভোজ্য তেলের বাজারের ৪০ শতাংশই পাম তেলের দখলে।
আরও পড়ুন- মাত্র ২০০ টাকা বিনিয়োগ করুন, মেয়াদ শেষে পান ২৮ লাখ