Gold Prcie Drop: সোনার দাম একলাফে কয়েক হাজার টাকা কমল, উত্‍সবের মুখে বড় সুযোগ

বুধবার খুব কম দামে সোনা পাওয়া যাচ্ছিল। ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৫৬,৬৫৩ টাকা, যেখানে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৫১,৮৯৪ টাকা। বুধবার সন্ধ্যায় ২২ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৫২ হাজার টাকার নীচে নেমে গিয়েছে।

Advertisement
সোনার দাম একলাফে কয়েক হাজার টাকা কমল, উত্‍সবের মুখে বড় সুযোগসোনার দাম একলাফে কয়েক হাজার টাকা কমল, উত্‍সবের মুখে বড় সুযোগ
হাইলাইটস
  • প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম সর্বোচ্চ থেকে ৫ হাজার টাকা কমেছে
  • বুধবার ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৫৬,৬৫৩ টাকা

গত কয়েকদিনে সোনার দাম অনেকটাই কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার কারণে সোনার দাম কমেছে। এই দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে একটা প্রশ্ন সবার মনে, সোনায় বিনিয়োগের এটাই কি সঠিক সময়? আসলে কয়েকদিন পরেই শুরু হতে চলেছে উৎসবের মরশুম। ভারতে উৎসবের মরশুমে সোনার চাহিদা বাড়ে। বিশেষ করে দীপাবলি এবং ধনতেরাস উপলক্ষে ভারতে সোনা কেনার ঐতিহ্য রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে সোনা ও রুপোর দাম কমছে

বিশেষ করে আমেরিকার বাজারে মন্দার কারণে সোনার দাম কমছে। বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ০.১৭ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ১৮২৭.৪০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে রুপার দর আউন্স প্রতি ০.৪৮ শতাংশ কমে ২১.২৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

আপনাদের জানিয়ে রাখি, ইউএস ফেডের সুদের হার বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যার কারণে সোনা ও রুপোর দামে পতন দেখা যাচ্ছে। এ কারণে আমেরিকার শেয়ারবাজার ক্রমাগত পতন ঘটছে। কিন্তু এটা কি ভারতীয় সোনার বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুযোগ? ৫ মে ভারতের বাজারে ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ছিল প্রায় ৬১,৭৩৯ টাকা। যা এখন প্রায় ৫৬ হাজারে নেমে এসেছে। শুধু তাই নয়, মে মাসে লেনদেনের সময় আমেদাবাদ বুলিয়ন বাজারে ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৬৩,৫০০ টাকা পৌঁছেছিল। এমন পরিস্থিতিতে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম সর্বোচ্চ থেকে ৫ হাজার টাকা কমেছে। গত ৪ মাসে এই দাম কমেছে।

আমরা যদি ভারতের কথা বলি, বুধবার খুব কম দামে সোনা পাওয়া যাচ্ছিল। ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৫৬,৬৫৩ টাকা, যেখানে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৫১,৮৯৪ টাকা। বুধবার সন্ধ্যায় ২২ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৫২ হাজার টাকার নীচে নেমে গিয়েছে। যেখানে রুপোর দাম প্রতি কেজি প্রায় ৭০,০০০ টাকা। মে মাসে রুপোর দাম বেড়ে ৭৭,২৮০ টাকা হয়েছিল।

আমেরিকার কারণে সোনার দামে পতন

সোনার দাম মূলত বাজারে সোনার চাহিদা এবং সরবরাহের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। সোনার চাহিদা বাড়লে দামও বাড়বে। বিশ্বে অর্থনৈতিক অবস্থার কারণেও সোনার দাম প্রভাবিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আন্তর্জাতিক অর্থনীতি খারাপভাবে চলে তবে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে সোনা বেছে নেয়, যার কারণে সোনার দাম বেড়ে যায়। বিশ্ব বাজারে সোনা বর্তমানে ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব অর্থনীতির ওপর ব্যাপক ও দীর্ঘমেয়াদী চাপ স্পষ্ট হয়ে গেলেই সোনার দামে বৃদ্ধি ঘটতে পারে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement