কোভিডের সময় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনারদের ১৮ মাসের ডিএ-র এরিয়ার দেয়নি সরকার। ২০২০ সালের জুন মাস থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই ডিএ বকেয়া ছিল। তা দীর্ঘদিন ধরে মিটিয়ে দেওয়ার দাবি করে আসছেন সরকারি কর্মীরা। খবরে প্রকাশ ২৩ জুলাইয়ের বাজেটে সেই এরিয়ার মিটিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করতে পারে মোদী সরকার।
যদি ১৮ মাসের ডিএ-র এরিয়ার ঘোষণা করে NDA, তাহলে সরকারি কর্মীরা এক ধাক্কায় অনেকটা টাকা পাবেন।
সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে রাষ্ট্রীয় পরিষদের সচিব শিব গোপাল মিশ্র জানিয়েছেন, ১৮ মাসের যে বকেয়া এরিয়ার রয়েছে তা যেন মিটিয়ে দেওয়া হয়, সেই আবেদন করা হয়েছে সরকারের কাছে। এর আগে আর এক সংগঠম ভারতীয় প্রতিরক্ষা মজদুর সংঘের তরফেও সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল।
শিব গোপাল মিশ্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে জানিয়েছেন, ১৮ মাসের ডিএ-র এরিয়ার বাকি রয়েছে। এই টাকাটা মিটিয়ে দিলে সরকারি কর্মীদের উপকার হবে। করোনার সময় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে সেই টাকা দেয়নি সরকার। তবে এখন অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমাগত স্বচ্ছ্বল হয়েছে। আশা করা যায়, সরকার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও চিঠি লিখেছেন শিব গোপাল মিশ্র। তিনি চিঠিতে লেখেন, ১৮ মাসের এই এরিয়ার যদি সরকারি কর্মী ও পেনশনাররা পান তাহলে তাঁরা উপকৃত হবেন। জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এই অবস্থায় সেই বকেয়া মেটানো প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, কেন্দ্রীয় সরকার এই ১৮ মাসের ডিএ-র প্রস্তাবকে মান্যতা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে এক ধাক্কায় অনেকটা টাকা ঢুকবে। সেই ২০২১ সালের পর থেকে প্রতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ডিএ-র দাবি জানিয়ে আসছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। এবার তা বাস্তবায়িত হতে পারে।
কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বছরে দু’বার অর্থাৎ জানুয়ারি ও মার্চে পর্যালোচনা করে সরকার। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে তাঁদের ডিএ বৃদ্ধি হয়েছে ৪ শতাংশ। ফলে ৫০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। এরপর আবার ডিএ ঘোষণা হলে অষ্টম বেতন কমিশন গঠিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই ৫০ শতাংশ ভাতা বেতনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। ফের ১ শতাংশ ধরে গণনা শুরু হওয়ার কথা। বাজেটে অষ্টম বেতন কমিশনের ঘোষণা থাকবে কি না সেদিকেও তাকিয়ে থাকবেন সরকারি কর্মীরা।