ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির সংস্থা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কারচুপি করে শেয়ার দর বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। তার প্রভাব পড়েছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে। ফলে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলিয়নেয়ারের (Top-10 Billionaires) তালিকা থেকেও ছিটকে গেলেন গৌতম আদানি। দীর্ঘদিন ধরে এই স্থান ধরে রেখেছিলেন তিনি। মুকেশ আম্বানিও ছিলেন তালিকায়। তিনিও এখন প্রথম দশের তালিকার বাইরে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ আমেরিকান গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg) দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্ট। গৌতম আদানির নেতৃত্বে কোম্পানিগুলির শেয়ারে তীব্র পতন শুরু হয়। তার জেরেই সপ্তাহের মধ্যে তিনি ধনীদের তালিকার বাইরে চলে গেলেন।
আদানির এখন সম্পত্তি কত ?
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে গৌতম আদানির সম্পত্তির পতন হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে মাত্র এক সপ্তাহ আগে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৮৪.৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। আদানি এখন বিশ্বের ১১তম ধনী ব্যক্তি।
আরও পড়ুন : সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে বড় মন্তব্য রাজ্যের মন্ত্রীর, তোলপাড়
আদানি কোম্পানির MCap কমেছে
বিজনেস টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, আদানি গ্রুপের সম্পত্তিহানির কারণ, স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির শেয়ারের পতন। এর মধ্যে আদানি গ্রুপের মাত্র তিনটি কোম্পানির প্রভাব শেয়ার মার্কেটে সব থেকে বেশি পডড়েছে। আদানি টোটাল গ্যাস এবং আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ার গত ৪ দিনে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত পতন দেখেছে। এ ছাড়াও আদানি পোর্টস থেকে আদানি উইলমার পর্যন্ত শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারও ভেঙে পড়েছে। আর পতনের এই প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত।
Hindenburg-এর রিপোর্টে কী আছে ?
মার্কিন ফরেনসিক আর্থিক গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে, আদানি গ্রুপের সমস্ত কোম্পানির ঋণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কারচুপি করে ধনী হয়েছেন আদানিরা। শেয়ার বাজারে তাঁদের যে অবস্থান, তার অনেকটাই কৃত্রিম। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের সর্বশেষ প্রতিবেদনে, আদানি গ্রুপকে ৮৮টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। আর এই রিপোর্ইট ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের মনোভাব বদলে দিয়েছে। যদিও আদানি গ্রুপ এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ১২ নম্বরে। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৮২.২ বিলিয়ন ডলার। এখন গৌতম আদানি এবং মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির ব্যবধান ২.২ বিলিয়ন ডলারে এসে পৌঁছেছে।