Old Tax Regime vs New Tax Regime: নগদ টাকার চক্করে ২ থেকে ৩ লাখ পর্যন্ত লোকসান হচ্ছে না তো? নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থার কিছু গোপন খরচ

ছুটির টাকা (Leave Encashment), পেনশন, অবসরকালীন ভাতা, নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কর ছাড়। এই সব ছাড় না পাওয়ার ফলে একজন মধ্যবিত্ত করদাতার প্রতি বছর ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত কর দিতে হতে পারে, যদি তিনি আগের মতোই বিনিয়োগ ও খরচ চালিয়ে যান।

Advertisement
নগদ টাকার চক্করে ২ থেকে ৩ লাখ পর্যন্ত লোকসান হচ্ছে না তো? নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থার কিছু গোপন খরচপুরনো আয়কর কাঠামো ও নতুন আয়কর কাঠামো
হাইলাইটস
  • নতুন কর ব্যবস্থায় কী হারালেন আর কী থাকছে?
  • গ্র্যাচুইটি – ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত
  • অঙ্ক কষে তবেই আয়কর কাঠামো বাছুন

হাতে মাইনে বেশি আসবে, নগদ টাকা বেশি হাতে থাকবে, এই কারণে বহু মানুষ নতুন আয়কর কাঠামো (New Tax Regime) বেছে নিচ্ছেন। তাছাড়া নতুন আয়কর কাঠামো অনেকটাই সহজও। কিন্তু এই সহজ ও নগদের হাতছানিতেই আপনি কিছু খরচ নিয়ে ভাবছেনই না। আয়কর বাঁচানোর চক্করে বছরে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা বাড়তিই খরচ হয়ে যাচ্ছে। নতুন আয়কর কাঠামোর একটি সিক্রেট দিক তুলে ধরলেন চার্টার অ্যাকাউন্ট্যান্ট নিতিন কৌশিক। সহজে বুঝে নিন, কীভাবে নতুন ট্যাক্স কাঠামোয় আপনি ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হারাচ্ছেন। 

নতুন কর ব্যবস্থায় কী হারালেন আর কী থাকছে?

যেসব ছাড় আর পাওয়া যাবে না (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ)

১. ধারা ৮০সি (Section 80C) – ১.৫ লাখ টাকা

এলআইসি, পিপিএফ, ইএলএসএস, বাড়ির লোনের আসল টাকা শোধ ইত্যাদিতে বিনিয়োগে ছাড়।

২. ধারা ৮০CCD(1B) – ৫০,০০০ টাকা

NPS-এ অতিরিক্ত অবদান রাখলে যে ছাড় মিলত।

৩. ধারা ৮০D – ২৫,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত

স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামে (নিজের ও পরিবারের জন্য) কর ছাড়।

আরও পড়ুন: পুরনো নাকি নতুন ট্যাক্স কাঠামো, আয়কর রিটার্ন ফাইলের সময় কীভাবে বাছবেন?

৪. ধারা ৮০E – কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই

শিক্ষা ঋণের উপর সুদে ছাড়।

৫. ধারা ৮০EEB – ১.৫ লাখ টাকা
 
ইলেকট্রিক গাড়ির ঋণের সুদে ছাড়।

৬. ধারা ৮০G – অনুদান দিলে কর ছাড়

বিভিন্ন স্বীকৃত সংস্থায় অনুদান দিলে যে ছাড় মিলত।

৭. ধারা ৮০TTA / ৮০TTB – ১০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা।

সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের উপর কর ছাড় (সাধারণ ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য)।

আরও পডুন: আয়করে বিরাট ছাড়! কাদের কত টাকা ট্যাক্স দিতে হবে? জানুন

৮. HRA (হাউস রেন্ট অ্যালাওয়্যান্স) – আর কর ছাড় নেই।

৯. LTA (লিভ ট্রাভেল অ্যালাওয়্যান্স), বাড়ি ঋণের সুদ, প্রফেশনাল ট্যাক্স – সবই বাদ।

Advertisement

যেসব সুবিধা এখনও পাওয়া যায় (New Tax Regime-এ)
৫০,০০০ টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন – বেতনভোগীদের জন্য।

এনপিএস-এ কোম্পানির দেওয়া অবদান – ধারা ৮০CCD(2)-এর অধীনে ছাড়।

গ্র্যাচুইটি – ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত।

ছুটির টাকা (Leave Encashment), পেনশন, অবসরকালীন ভাতা, নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কর ছাড়। এই সব ছাড় না পাওয়ার ফলে একজন মধ্যবিত্ত করদাতার প্রতি বছর ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত কর দিতে হতে পারে, যদি তিনি আগের মতোই বিনিয়োগ ও খরচ চালিয়ে যান। এ ক্ষেত্রে প্র্যাক্টিক্যাল উদাহরণ স্বরূপ নয়া কর কাঠামোয় ৩০ শতাংশ স্ল্যাবে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের উদাহরণ টানলেন। ৩০% হারে কর বাঁচে প্রতি বছর ১.৯৮ লাখ টাকা।

আরও ছাড়ের সুযোগ থাকলে কর ছাড় আরও বেশি হতে পারে। ইলেকট্রিক গাড়ির ঋণ (৮০EEB) – ১.৫ লাখ টাকা। প্রবীণ নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিমা – আরও বেশি ছাড়। ডোনেশনের পরিমাণ বেশি হলে – আরও ছাড়। এসব ক্ষেত্র ধরলে বার্ষিক কর সাশ্রয় ২.৪ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।

সব মিলিয়ে কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যাঁরা বেশি বেতন পান, তাঁরা যদি বিনিয়োগ ও নানা বিমা প্ল্যান আগের মতোই রাখেন, তাহলে কিন্তু পুরনো আয়কর কাঠামোয় বেশি সুবিধা। তাই অঙ্ক কষে তবেই আয়কর কাঠামো বাছুন।

POST A COMMENT
Advertisement