রিজার্ভেশন থাকা সত্ত্বেও বার্থ দিতে না পারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দিল রেল। অভিযোগ, সংরক্ষিত টিকিট অন্য যাত্রীকে বিক্রি করে দেন রেলের আধিকারিকরা। ওই প্রবীণ নাগরিকের নামে আসন সংরক্ষণ থাকা সত্ত্বেও বার্থ দেওয়ায় রেলকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ক্রেতা সুরক্ষা সংক্রান্ত কমিশন।
২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিহারের দ্বারভাঙা থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন ইন্দ্রনাথ ঝা। সেই সময় সংরক্ষিত টিকিট থাকা সত্ত্বেও বার্থা পাননি। তার পর উপভোক্তা আদালতে অভিযোগ করেন তিনি। কমিশনের সভাপতি মনিকা শ্রীবাস্তব এবং সদস্য রশ্মি বানসাল এবং রাজেন্দ্র ধরের বেঞ্চ জানিয়েছে, স্বাচ্ছন্দ্য ও ঝঞ্ঝাটমুক্ত ভ্রমণের জন্য সংরক্ষিত শ্রেণির টিকিট কাটেন যাত্রীরা। এক মাস আগে সংরক্ষণ পাওয়া সত্ত্বেও আসন পাননি। কষ্ট করে ট্রেনযাত্রা করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
অভিযোগ, ট্রেনের আধিকারিকরা তাঁর কনফার্মড টিকিট অন্য কারও কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ইন্দ্রনাথ জানান, স্লিপার ক্লাসের টিকিট থাকা সত্ত্বেও বার্থ পাননি। টিকিট পরীক্ষকের কাছে যান। তখন টিকিট পরীক্ষক দাবি করেন, তাঁর সংরক্ষিত আসন স্লিপার থেকে এসি করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসি কোচে গিয়েও জায়গা পাননি। ফলে দাঁড়িয়েই বিহার থেকে দিল্লি যেতে হয়েছে। রেল পাল্টা দাবি, তাদের কোনও দোষ নেই। অভিযোগকারী যথাসময়ে ট্রেনে ওঠেননি। অন্য স্টেশনে ৫ ঘণ্টা পরে ওঠেন। টিটি ভেবেছিলেন, তিনি ট্রেনে চড়েননি। নিয়ম মেনে অন্য যাত্রীকে তাঁর আসন বরাদ্দ করা হয়।
আরও পড়ুন- এপ্রিলে ৩০ দিনের মধ্যে ১৫ দিনই বন্ধ ব্যাঙ্ক, কবে কবে?
তবে রেলের দাবি মানতে চায়নি কমিশন। তারা জানায়, কারও কাছে সংরক্ষিত টিকিট থাকলে তাঁকে আসন দিতে বাধ্য রেল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসন দেওয়ার কথা বলেও দেওয়া হয়নি। স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়ার পরিবর্তে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন যাত্রী। রেলের তরফে ত্রুটি ছিল।
আরও পড়ুন- মোদী সরকারের ঘোষণায় ডবল DA পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা!