শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকে তাই সরকারি সংস্থার শেয়ার কেনায় বেশি উৎসাহ দেখান। তেমনই একটি সরকারি সংস্থায় বিনিয়োগ করে বিপুল লাভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এমনই একটি সরকারি সংস্থায় ১ লাখের বিনিয়োগ হয়ে গিয়েছে ২.৬৫ কোটি টাকা। এই সরকারি সংস্থার নাম বিপিসিএল। যে স্টক বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ রিটার্ন দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি বিপিসিএলে বিনিয়োগ করে কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন লগ্নিকারীরা। আর তা হয়েছে মাত্র ২৩ বছরে। ২০০০ সালের ডিসেম্বর, ২০১২ সালের জুলাই, ২০১৬- জুলাই, ২০১৭-র জুলাই এক্স বোনাস শেয়ার দিয়েছে সংস্থা। সংস্থা প্রথম ৩ বছরে ১:১ বোনাস শেয়ার ইস্যু করেছিল। ২০১৭ সালে ইস্যু করা হয়েছিল ১:২ বোনাস শেয়ার।
কোম্পানি বোনাস শেয়ার ইস্যুর হিসাব দেখলে স্পষ্ট হবে কীভাবে লাভবান হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ২০০০ সালে ১:১ বোনাস শেয়ার ইস্যু করা হয়েছিল। তার পর শেয়ার বেড়ে হয় ২ (১ x ২)। পরে তা হয় ৪টি (২ x ২)। ২০১২ সালের জুলাই মাসে ১:১ বোনাস শেয়ার ইস্যু করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ১:১ বোনাস শেয়ার ইস্যু করার পর এই শেয়ার সংখ্যায় ৮ (৪ x ২) হয়েছে। ২০১৭ সালে ৮ টি BPCL স্টক ১:২ বোনাস শেয়ার ইস্যু করার পর হয়েছে ১২ (৮ x ১.৫)। অর্থাৎ ২০০০ সালে যিনি বিপিসিএলে ১টি শেয়ার কিনেছেন সেটি বেড়ে এখন হয়েছে ১২টি। ১০০ শেয়ার কিনলে এখন পোর্টফোলিওয় রয়েছে ১২০টি।
২০০০ সালের অগাস্টে কোনও বিনিয়োগকারী এই সরকারি সংস্থায় ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতেন, তাহলে তিনি প্রায় ১৫ টাকায় এক একটি শেয়ার পেতেন। লেভেলে এই কোম্পানির স্টক পেতেন। তাঁর কাছে BPCL-এর ৬৬৬৭ শেয়ার থাকবে। ২০০০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বোনাস শেয়ার ইস্যু করার পর ৬,৬৬৭ BPCL শেয়ারের সংখ্যা পোর্টফোলিওয় বেড়ে হয়েছে ৮,০০০০।
শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় বিপিসিএলের শেয়ারের বর্তমান দাম ছিল ৩২১.৭০ টাকা। পড়েছে ২.৯১ শতাংশ। কোনও বিনিয়োগকারী এই সংস্থার শেয়ারে ১ লাখ টাকা লগ্নি করে থাকলে আজকের তারিখ অনুযায়ী, সেই বিনিয়োগ দাঁড়িয়ে ২.৬৫ কোটি টাকায়। এই স্টকের দাম ১৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০ টাকার বেশি হয়ে গিয়েছে। প্রায় ২২ গুণ বেশি রিটার্ন প্রতি স্টকে। এভাবে বিনিয়োগকারীদের ১ লাখ হয়ে যাবে ২২.১২ লাখ। এর সঙ্গে বোনাস শেয়ার যোগ হওয়ায় তা হয়েছে ২.৬৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আদানির ৩ শেয়ার, টাকা ঢালবেন নাকি