scorecardresearch
 

Parle G Biscuit Price : এখনও ৫ টাকায় মেলে পার্লে জি বিস্কুটের প্যাকেট, কম দামের কারণ কী?

Parle G Biscuit Price: পার্লে-জি বিস্কুটের স্বাদ এখনও মানুষের বেজায় প্রিয়। তার স্বাদ মানুষের ঠোঁটে লেগে আছে। ভারতে এটা কেবল বিস্কুটের এক ব্র্যান্ড নয়, এর সঙ্গে মানুষের অনুভূতিও জড়িত। যখনই পার্লে-জি বিস্কুটের কথা বলা হয়, আমরা আমাদের শৈশবে ফিরে যাই।

Advertisement
পার্লে জি বিস্কুট ভারতে বেশ জনপ্রিয় (প্রতীকী ছবি) পার্লে জি বিস্কুট ভারতে বেশ জনপ্রিয় (প্রতীকী ছবি)
হাইলাইটস
  • পার্লে-জি বিস্কুটের স্বাদ এখনও প্রবল জনপ্রিয়
  • ভারতে এটা কেবল বিস্কুটের এক ব্র্যান্ড নয়
  • এর সঙ্গে মানুষের অনুভূতিও জড়িত

Parle G Biscuit Price: পার্লে-জি বিস্কুটের স্বাদ এখনও মানুষের বেজায় প্রিয়। তার স্বাদ মানুষের ঠোঁটে লেগে আছে। ভারতে এটা কেবল বিস্কুটের এক ব্র্যান্ড নয়, এর সঙ্গে মানুষের অনুভূতিও জড়িত। যখনই পার্লে-জি বিস্কুটের কথা বলা হয়, আমরা আমাদের শৈশবে ফিরে যাই। 

পার্লে-জি বিস্কুট সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এর স্বাদ বদলায়নি। এর সঙ্গে আর একটি জিনিস যা দীর্ঘদিন ধরে পরিবর্তন হয়নি। তা হল বিস্কুটের ছোট প্যাকেটের পার্লে-জি দাম। এখনও এই প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে ৫ টাকায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এর দাম ছিল মাত্র চার টাকা। এমন পরিস্থিতিতে সবথেকে বড় প্রশ্ন হল, ক্রমাগত জিনিসের দাম বদলাচ্ছে এবং রোজ দ্রব্যমূল্যের পরিবর্তনের যুগে পার্লে-জি কীভাবে এখন ৫ টাকার রেট বজায় রেখেছে?

২৫ বছরের জন্য একই দাম
২৫ বছর ধরে Parle-G বিস্কুটের একটি ছোট প্যাকেটের দাম রয়ে গেছে মাত্র ৪ টাকা। সংস্থাটি কীভাবে এই দাম বজায় রেখেছে তার পুরো গণিতটি ব্যাখ্যা করেছেন সুইগির ডিজাইন ডিরেক্টর সপ্তর্ষি প্রকাশ। লিঙ্কডইনে প্রকাশ লিখেছেন যে, 'এটা কীভাবে সম্ভব?' এর পর তিনি এর হিসাব করে জানান।

আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসে কোন স্কিমে কত সুদ মিলছে, জেনে নিন

আরও পড়ুন: LIC IPO সম্ভাব্য কত তারিখে আসছে বাজারে? জেনে নিন

আরও পড়ুন: প্রেগন্যান্সিতে এই লক্ষণগুলো মোটেই অবহেলা নয়, মা-শিশুর ক্ষতি হতে পারে

মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতির ব্যবহার
প্রকাশ ব্যাখ্যা করেছেন, '১৯৯৪ সালে, পার্লে-জি বিস্কুটের একটি ছোট প্যাকেটের দাম ছিল চার টাকা। অনেক বছর পর রেট এক টাকা বাড়ানো হয়। তখন প্যাকেটের দাম হয়ে গেল পাঁচ টাকা। ১৯৯৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত Parle-G-এর ছোট প্যাকেটের দাম ছিল মাত্র চার টাকা। তিনি বলেছিলেন যে পারলে-জি এত বড় পরিসরে তার চিহ্ন তৈরি করার জন্য একটি দুর্দান্ত মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন।

Advertisement

প্যাকেটের সাইজ বা আকারে বদল
মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতির বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রকাশ বলেন, 'এখন যখনই ছোট প্যাকেটের কথা বলি, আপনার মাথায় কী আসে? একটি প্যাকেট যা আপনার হাতে সহজেই ফিট করে। প্যাকেটের ভেতরে এক মুঠো বিস্কুট। পার্লে এই পদ্ধতিটি খুব ভালভাবে বুঝতে পেরেছিল। তাই দাম বাড়ানোর বদলে নিজের ছোট প্যাকেটের ধারণাই ধরে রেখেছেন মানুষের মনে। তারপর ধীরে ধীরে এর আকার কমাতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, ছোট প্যাকেটের সাইজ ছোট হয়েছে, কিন্তু দাম বাড়েনি।

কত ওজন কমল?
প্রকাশ জানান, আগে পার্লে-জি-র একটি ছোট প্যাকেট পাওয়া যেত ১০০ গ্রাম। কয়েক বছর পর তা কমিয়ে ৯২.৫ গ্রাম করা হয়। তারপর ৮৮ গ্রাম এবং আজ পার্লে-জি-এর ছোট প্যাকেট, যা পাঁচ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যার ওজন ৫৫ গ্রাম। ১৯৯৪ সাল থেকে এর ওজন ৪৫ শতাংশ কম হয়ে গিয়েছে। তিনি এই কৌশলকে 'গ্রেসফুল ডিগ্রেশন' হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে আলুর চিপস, চকোলেট এবং টুথপেস্ট তৈরিকারী সংস্থাগুলোও এভাবেই কাজ করে।

এটা কখন শুরু হয়েছিল
পার্লে ১৯২৯ সালে শুরু হয়েছিল। পার্লে ১৯৩৮ সালে প্রথম পার্লে গ্লুকো (পার্ল গ্লুকোজ) নামে বিস্কুট তৈরি শুরু করে। ১৯৪০-৫০-এর দশকে কোম্পানিটি ভারতের প্রথম নোনতা বিস্কুট 'মোনাকো' চালু করেছিল।

 

Advertisement