
এবছর প্রায় ১ লক্ষ প্যাকেট আলু কম মজুত হল রাজ্যের হিমঘরগুলিতে। গতকাল বাংলায় আলুর মোট উৎপাদন ও স্টোরে লোড কতটা হল তা নিয়ে বৈঠক বসেছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। সেখানেই গোটা রাজ্যের আলুর ছবিটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। ২০২২ সালে রাজ্যের ৪৮০টি স্টোরে ১২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ১০৬ প্যাকেট আলু লোড হয়েছিল। এবার তার থেকে বেশি লোড হয়েছে। এবার ১৩ কোটি ৬১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫৯৪ প্যাকেট আলু লোড হয়েছে। শতাংশের হিসেবে যা ৮৭.৯১ শতাংশ।
রাজ্যের সমস্ত কোল্ড স্টোরে ১৫ কোটি ৪৮ লক্ষের কিছু বেশি আলু লোড করার জায়গা রয়েছে। তবে, সরকারি হিসেব একটু কম। তাই হিসেব মতো এবার ৯৬ লক্ষ প্যাকেট আলু বেশি লোড হয়েছে স্টোরগুলিতে।
আরও পড়ুন: PM Kisan 14th Installment: পিএম কিষাণের টাকা কবে ঢুকবে? কৃষকবন্ধুদের জন্য বড় আপডেট
স্টোরে আলু রেখে কি লাভ হবে?
এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরেণ মণ্ডল বলেন, 'আলুর কী হবে তা এখনই বলা যাবে না। সারা দেশেই আলু বেশি লোড হয়েছে। তবে, গতবারের তুলনায় দাম কম আছে। গরম আবহাওয়া থাকলে, বৃষ্টি কম হলে সবজি চাষে ক্ষতি হতে পারে। সবজির দাম অত্যধিক বাড়তে পারে। তাই আলুর চাহিদা বাড়তে পারে। ১৫ দিন আগে এবার স্টোর খুলে যাবে। বাংলা থেকে অন্য রাজ্যে আলু যাবে। তাতে লাভ হতে পারে চাষি ও ব্যবসায়ীদের।'
খুচরো বাজারে আলুর দাম কী হতে পারে?
বরেণবাবু বলেছেন, 'পাইকারি বাজারে ও খুচরো বাজারে আলুর দামে বড়া পার্থক্য থাকে। খোলা বাজারে কেজি প্রতি ৮-৯ টাকা বেশি দামে আলু বিক্রি করা হয়। এটা একেবারেই কাম্য নয়। সাধারণ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে টাস্ক ফোর্সের উদাসীনতা রয়েছে। খোলা বাজারে যাতে সাধারণ মানুষকে সঠিক দামে আলু বিক্রি করা হয়, সেই বিষয়ে নজরদারি চালাতে হবে।'