হাইলাইটস
- আলুর স্টোর লোড দাম ৫০০ টাকা ছাড়িয়েছে
- দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে আলুর ফলন ও দাম বেশ কম
রবিবার রাজ্যে নতুন আলুর দাম দাম খুব একটা পরিবর্তন হল না। কয়েক জায়গায় আলুর দাম (Potato Price) বেড়েছে ১০-২০ টাকা, আবার কয়েক জায়গায় দাম কমেছে একই রকম ভাবে। আজ রাজ্যে আলুর স্টোর লোড দাম ৫০০ টাকা (Potato Price In West Bengal) ছাড়িয়েছে কয়েক জায়গায়। চাষিরা অবশ্যই জায়গা ও আলুর কোয়ালিটি ভেদে এর থেকে দম দাম পাচ্ছেন। কারণ জমি থেকে আলু স্টোর অবধি পৌঁছনো পর্যন্ত আরও কিছু খরচ থাকে।
এবার দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে আলুর দাম বেশ কম। গত বছর ফলন বেশি হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয় চাষিদের। এই মরসুমে ভাল ফলন ও দাম পাওয়ার আশা করেছিলেন কৃষকরা। যদিও আলুর ভাল দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ কৃষকদের। এখন জ্যোতি আলু (Jyoti Potato) তোলা প্রায় শেষের মুখে। এবার ফলন এবারে কম হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা। এর জন্য আবহাওয়ার খামখেয়ালিকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। প্রথম দিকে আলুর দাম একেবারেই উঠছিল না। সরকার ৬৫০ টাকা কুইন্টাল দরে আলু কেনার ঘোষণা করার পর আলুর দাম বাড়তে শুরু করে। তবে ফলন কম হওয়াতে লাভ তো হচ্ছে না। বরং লোকসান হচ্ছে। চাষিরা জানিয়েছেন, বিঘে প্রতি ৬০-৭০ বস্তা আলু হচ্ছে। আলু বিক্রি করে চাষির মিলছে ২০-২৫ হাজার টাকা। তাঁদের দাবি, বিঘে প্রতি প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। এতেই চরম বিপাকে কৃষকেরা। সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন তারা। দাম ন্যূনতম কুইন্টাল প্রতি ১০০০ টাকা করার দাবি উঠেছে।
আরও পড়ুন: Public Provident Fund Account Reactivation: বন্ধ হয়ে যাওয়া PPF অ্যাকাউন্ট চালু করবেন কীভাবে? রইল পদ্ধতি
রাজ্যে আলুর ফলন সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। আমরা এই প্রতিবেদনে ১৯ মার্চ শনিবার উত্তরপ্রদেশ ও বাংলায় কোথায় কী দামে আলু বিক্রি হচ্ছে (Potato prices in West Bengal) তা জানব। রাজ্যের কোন জায়গায়, কোন ইউনিটে আলুর বন্ডের দাম (Potato mandi price) কত তা একেবারে সকালেই জেনে নিতে পারবেন কৃষক ও ব্যবসাসী ভাইয়েরা।
রবিবার কোথায় আলুর দাম কত (Today Potato Price In West Bengal):
উত্তরপ্রদেশ:
- কানপুর: ২৫০-৩০০ টাকা (৫০ কেজি বস্তা)
- আগ্রা: ২৭৫-৩৭৫ টাকা
- ফারুখাবাদ: ২০০-৩০০ টাকা
পশ্চিমবঙ্গ:
- আলিপুরদুয়ার: ৩২৫ টাকা (৫০ কেজি বস্তা হিসেবে স্টোর লোডের দাম)
- দিনহাটা (কোচবিহার): ৩০০ টাকা
- কোচবিহার: ৩২৫ টাকা
- জলপাইগুড়ি: ৩২৫ টাকা
- মাথাভাঙা: ২৯০ টাকা
- ধূপগুড়ি (জলপাইগুড়ি): ৩১০-৩২০ টাকা
- আমলাগোরা (মেদিনীপুর): ৪৬০ টাকা
- বদনগঞ্জ: ৪৩০ টাকা
- বেলিয়াতোড়: ৪৪০ টাকা
- বাঁকাদহ: ৪৩০ টাকা
- চমকাইতলা: ৪৩০ টাকা
- চাতরা: ৪৫০ টাকা
- চন্দ্রকোনা রোড: ৪৫০ টাকা
- চন্দ্রকোনা টাউন: ৪৫০ টাকা
- গোয়ালতোড়: ৪৬০ টাকা
- গড়বেতা: ৪৬০ টাকা
- জোরকা: ৪৬০ টাকা
- জয়পুর: ৪৫০ টাকা
- কোতুলপুর: ৪৫০ টাকা
- কুমরুল: ৫১৫ টাকা
- জয়রামবাটি: ৪৫০
- কামারপুকুর: ৪৩০ টাকা
- কারালাঘাট (পূর্ব বর্ধমান): ৪৭০ টাকা
- মসাগ্রাম: ৪৭০ টাকা
- ডাকবাংলো: ৪১০ টাকা
- জামালপুর: ৪৭০ টাকা
- ময়নাপুর: ৪৫০ টাকা
- সোনামুখি: ৪৪০ টাকা
- সুরে কালনা: ৪৭০ টাকা
- অম্বিকা কালনা: ৪৬০ টাকা
- উদয় নারায়ণপুর: ৪৮০ টাকা
- পাণ্ডুয়া: ৪৯০ টাকা
- বর্ধমান: ৪৬০ টাকা
- মেমারি: ৪৬০ টাকা
- বুলবুলি তলা: ৪৬০ টাকা
- তারকেশ্বর: ৪৯০ টাকা
- আরামবাগ: ৪৭৫ টাকা
- গোঘাট: ৪৫০ টাকা
সাম্প্রতিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আলুর দাম প্রকাশ করা হয়েছে। জায়গা ও আলুর কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন জায়গায় দাম ভিন্ন হতে পারে। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের অনুরোধ তাঁরা আলু বিক্রি করার আগে লোকাল বাজারে দাম জেনে তবেই বিক্রি করবেন।