সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রিমাসিকের পর্যালোচনা বৈঠকে রেপো রেট বাড়াল না দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এর আগে আগে এপ্রিল মাসে রেপো রেটে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। তা ৬.৫ শতাংশেই স্থির রাখা হয়েছে। ফলে সাধারণ মধ্যবিত্তের উপর আপাতত অতিরিক্ত ইএমআই-র বোঝা চাপছে না।
টানা রেপো রেট বাড়িয়েছিল আরবিআই। সে কারণে বেড়েছিল ঘর-বাড়ি থেকে গাড়ির ইএমআই। আরও একবার রেপো রেট অপরিবর্তত রাখল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। রেপো রেট ৬.৫ শতাংশই রাখা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে পণ্যের দামবৃদ্ধি, আর্থিক বাজারের টালমাটাল পরিস্থিতির পাশাপাশি বর্ষার আগমন নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে আপাতত সামলে চলার সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান,এবারও রেপো রেটে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। বলে রাখি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ২০২২ সালের মে মাস থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দফায় দফায় রেপো রেট বাড়িয়েছিল। শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার ৪ শতাংশের উপরেই থাকবে। ২০২৩-২৪ সালে তার কোনও বদল হবে না। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জিডিপি ৬.৫ শতাংশে থাকতে পারে বলে অনুমান করেছেন শক্তিকান্ত।
আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, ভারতীয় অর্থনীতি স্থিতিশীল। তবে এটাও ঠিক বিশ্বে এখনও টালমাটাল পরিস্থিতি। তবে দেশের অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলি শক্তিশালী হয়েছে। সে কারণে সুদের হারে কোনও পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলে রাখি, রেপো রেট ২০২২ সালের মে মাস থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯ মাসে রেপো রেট বেড়েছে ২৫০ বেসিস পয়েন্ট। বর্তমানে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ। রেপো রেট হল, যে হারে আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়। অন্যদিকে রিভার্স রেপো রেট হল, যে হারে আরবিআই টাকা রাখার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে সুদ দেয়। রেপো রেট কমলে ঋণের ইএমআই কমে। রেপো রেট বৃদ্ধি পেলে বাড়ে ইএমআই।
নিয়ন্ত্রণে মূল্যবৃদ্ধি
২০২৩ সালের এপ্রিলে ১৮ মাসে সর্বনিম্ন ৪.৭ শতাংশে নেমে এসেছে মূল্যবৃদ্ধি। খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ২০২১ সালের অক্টোবরের পরে সর্বনিম্নে নেমেছে। ভারতের পাইকারি মূল্যসূচক (WPI) চলতি বছরের এপ্রিলে -০.৯২ শতাংশে নেমে এসেছে। যা চলতি বছরের মার্চে ১.৩৪ শতাংশ ছিল। পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতি মার্চ মাসে ২.৩২ শতাংশ থেকে এপ্রিল মাসে ০.১৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন- গাড়ির বিমা করার আগে এই ৪ বিষয় মাথায় রাখুন, বর্ষায় বাঁচবে টাকা