সম্প্রতি যে তথ্য সামনে এসেছে সেখানে দেখা গিয়েছে ভারতীয়রা টেলিকম সেবার মান সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন হয়ে উঠছে। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) এর তরফে জানান হয়েছে গত দশ বছরে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটির (MNP) জন্য ৫৫.২ কোটি আবেদন করা হয়েছে।
ট্রাই জানিয়েছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের শেষে টেলিফোন গ্রাহকদের সংখ্যা বেড়েছে ১১৭.৩৮ কোটি। জানুয়ারিতে সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ১১৮.৩৪ কোটিতে। ব্রডব্যান্ড গ্রাহকের সংখ্যাও ডিসেম্বরের শেষে ৭৪.৭৪ কোটি থেকে বেড়ে জানুয়ারির শেষের দিকে ৭৫.৭৬ কোটি হয়েছে। প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১.৩৬ শতাংশ।
যদিও টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে চিন্তার বিষয় একটাই তা হল সরকারি ক্ষেত্রে বা রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে গ্রাহকরা। বরং প্রাইভেট প্লেয়ার্সদের মধ্যে লক্ষ্মীলাভ হয়েছে রিলায়েন্স জিও-এর। তারা মট বাজারের প্রায় ৩৫.৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। যদিও টেলিফোন সাবস্ক্রিপশনে শহর ও গ্রামের বিভাজন রয়েছে। জানুয়ারিতে শহর এবং গ্রামীণ টেলিফোনের সাবস্ক্রিপশনের মাসিক বৃদ্ধির হার যথাক্রমে জানুয়ারীতে ০.৮৩% এবং ০.৮১% ছিল।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে মোট ওয়্যারলেস গ্রাহক ১১২.৩৭ কোটি থেকে বেড়ে জানুয়ারী ২০২১ সালের মধ্যে ১১৬.৩৪ কোটি হয়েছে। অর্থাৎ মাসিক বৃদ্ধির হার ০.৮৮ শতাংশ রেজিস্টার হয়েছে। তবে ভারতী এয়ারটেল থেকে পিছিয়ে রয়েছে রিলায়েন্স জিও। পিছিয়ে রয়েছে ভোডাফোন-আইডিয়া।
ওয়্যারলেস গ্রাহকদের মধ্যে জিও-র বাজারের সর্বোচ্চ শেয়ার ছিল ৩৫.৩০ শতাংশ, এয়ারটেলের ২৯.৯২ শতাংশ এবং ভোডাফোন-আইডিয়ার ২৪.৫৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বিএসএনএলের শেয়ারের পরিমাণ ২১ শতাংশ।