আজ রাজ্য বাজেট পেশ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিধানসভায় বাজেট পেশ করছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। গতবার বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এবারের বাজেটেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীরা তাকিয়ে রয়েছেন, ডিএ বৃদ্ধির উপরে। রাজ্য বাজেটের সব খবরে পান LIVE ব্লগে।
চা প্রকল্পে এগ্রিচালচালার ইনকাম ট্যাক্স ছাড় ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হল রাজ্য বাজেটে।
রাজ্য সরকারি কর্মীরা এবার ১৮ শতাংশ মোট ডিএ পাবেন। আজ বাজেটে ৪ শতাংশ বাড়ানো হল ডিএ। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মহার্ঘ ভাতার পার্থক্য এখন ৩৫ শতাংশ।
আরও ৩৫০টি সুফল বাংলা স্টলের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল রাজ্য বাজেটে। ৩৭ হাজার কিমি গ্রামীণ রাস্তা তৈরির জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। গঙ্গাসাগর ব্রিজের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল রাজ্য বাজেটে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ৯ হাজার ৬০০ কোটি আরও বরাদ্দা করা হল।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বরাদ্দ বাড়ানো হল না বাজেটে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানালেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ানো হল না। এখন যা টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেই টাকাই দেওয়া হবে।
আশা ওঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল ফোন দিতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। প্রত্যেক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে দেওয়া হবে মোবাইল। পথশ্রী প্রকল্পে দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।
পথশ্রী প্রকল্পে দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। নদী বন্ধন নামে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নদী বন্ধন প্রকল্পে বরাদ্দ করা হল ২০০ কোটি টাকা।
বাজেটে বেড়ে গেল রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
'সর্বদল বৈঠকে বিরোধীদের উপস্থিত থাকা উচিত। আমরা লোকসভায় সর্বদল বৈঠকে থাকতাম। কেন বিরোধীরা বাজেটের আগে সর্বদল বৈঠকে যোগ দেন না, বুঝতে পারি না,' বিএ কমিটির বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এটিই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আগামী বছর নির্বাচনের আগে শুধু ভোট অন অ্যাকাউন্ট হবে।
বেতন বাড়ানো হতে পারে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। ঘোষণা করতে পারেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এছাড়াও আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন বাড়ানো হতে পারে।
রাজ্য় বাজেটে কর্মসংস্থান নিয়ে কী ঘোষণা করে সরকার, তার দিকে তাকিয়ে সবাই। কোন কোন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হবে তার ঘোষণা করতে পারেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, 'বাংলার মানুষের চাহিদা মতো কিছু থাকে কি না, দেখা যাক। শুধু ভাতা বাড়ালে হবে না। পাঁচশো টাকা ভাতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেটা এখন দেবেন না, ভোটের আগে রূপায়িত হবে। থাকতে পারে ৩% ডিএ , আমি বলার পরে সেটা ৪% দিতে পারে। আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চাইছি। চাকরির কথা কিছু থাকবে না। তবে অনেক দিন পরে শিল্প-শিল্প থাকবে।'
গতবার অর্থাত্ ২০২৪ সালে ছিল লোকসভা ভোট। বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে মমতা সরকার। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ ৪ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তও ঘোষণা করা হয়েছিল। এবারের বাজেটে আশা করা হচ্ছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ একাধিক প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে।
বিকেল ৪টেয় বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ বাজেট পেশ করবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করছে রাজ্য সরকার।