NOTIFICATIONS
6th Oct
আজ খুলেছে Yatra Online IPO, বিনিয়োগের আগে জেনে নিন খুঁটিনাটি। 
Yatra Online IPO: দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন ট্রাভেল কোম্পানি যাত্রা অনলাইনের IPO আজ খোলা হয়েছে। শুক্রবার খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য খোলার আগে, কোম্পানিটি ১৪ সেপ্টেম্বর অ্যাঙ্কর বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে মোট ৩৪৮.৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এই পরিমাণ মোট ৩৩ জন অ্যাঙ্কর বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে তোলা হয়েছে। আপনিও যদি এই আইপিওতে টাকা ঢালার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে আমরা আপনাকে এর প্রাইস ব্যান্ড, জিএমপি এবং আইপিও সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়ে দিচ্ছি।
এই অ্যাঙ্কর বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করেছেন-
ট্রাভেল ওয়েবসাইট যাত্রা অনলাইনের অ্যাঙ্কর রাউন্ডে যে সংস্থাগুলি বিনিয়োগ করেছে তার মধ্যে রয়েছে মরগান স্ট্যানলি, গোল্ডম্যান শ্যাক্স, বিএনপি পারিবাস আরবিট্রেজ, ইলারা ইন্ডিয়া অপর্চুনিটি, হোয়াইট ওক ক্যাপিটাল, কোয়ান্টাম স্টেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। যেখানে দেশীয় সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে ICICI প্রুডেনশিয়াল মিউচুয়াল ফান্ড, ম্যাক্স লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এডেলউইস ট্রাস্টিশিপ, টাটা মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদি। এটি লক্ষণীয় যে ২,৪৫,৫৯,৮৬০ ইক্যুইটি শেয়ার অ্যাঙ্কর বিনিয়োগকারীদের জন্য ইস্যু করা হয়েছে। এসব শেয়ারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি শেয়ার ১৪২ টাকা।
কোম্পানির শেয়ারের দাম কত?
যাত্রা অনলাইন তার আইপিওর প্রাইস ব্যান্ড নির্ধারণ করেছে ১৩৫ টাকা থেকে ১৪২ টাকা প্রতি শেয়ার। কোম্পানিটি এই আইপিওর মাধ্যমে মোট ৭৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে মোট ৬০২ কোটি টাকার নতুন শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে এবং ১.২১ কোটি শেয়ার অফার ফর সেলের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। প্রি-আইপিও প্লেসমেন্টের মাধ্যমে মোট ৬২ কোটি টাকা তোলা হয়েছে।
এই আইপিও সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
যাত্রা অনলাইনের আইপিও ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ থেকে বিনিয়োগকারীদের জন্য খোলা হয়েছে। আপনি ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত ইস্যুতে সদস্যতা নিতে পারেন। কোম্পানিটি ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ার বরাদ্দ করবে। এই শেয়ারগুলির তালিকা ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। এই আইপিওর মধ্যে ৭৫ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতাদের (কিউআইবি), ১৫ শতাংশ নেট ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরদের জন্য এবং বাকি ১০ শতাংশ খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোম্পানি এই তহবিল দিয়ে কী করবে?
কোম্পানিটি অধিগ্রহণ এবং বিনিয়োগের জন্য আইপিওর মাধ্যমে উত্থাপিত অর্থের ১৫০ কোটি টাকা ব্যবহার করবে। যেখানে অধিগ্রহণ এবং নতুন প্রযুক্তির জন্য ৩৯২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। অবশিষ্ট অর্থ সাধারণ কর্পোরেট চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা হবে।
