scorecardresearch
 

১০৫-এ পরীক্ষায় বসে অঙ্কে পেয়েছিলেন একশোয় একশো! সেই ভাগীরথী আম্মা প্রয়াত

ভাগীরথী আম্মা (Bhageerathi Amma)-র লেখাপড়ার ইচ্ছাকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। 'মন কী বাত' (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে তাঁর ব্যাপারে উল্লেখ করেছিলেন।

Advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভাগীরথী আম্মা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভাগীরথী আম্মা
হাইলাইটস
  • ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়
  • সে কথা দেখিয়ে দিয়েছিলেন শতায়ু পেরনো মানুষটি
  • বলা যেতে পারে, সবার কাছে নজির তৈরি করেছিলেন

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সে কথা দেখিয়ে দিয়েছিলেন শতায়ু পেরনো মানুষটি। বলা যেতে পারে, সবার কাছে নজির তৈরি করেছিলেন। সেই ভাগীরথী আম্মা (Bhageerathi Amma) প্রয়াত। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৭ বছর।

১০৫ বছর বয়সে চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষায় বসেছিলেন। এবং সফলও হয়েছিলেন। তিনি কেরলের কোল্লাম জেলার প্রাক্কুলাম থাকতেন। চতুর্থ শ্রেণীতে সফল হওয়ার পর বসে থাকেননি।

শুরু করে দিয়েছিলেন পরের স্তরের লেখাপড়া। ভাগীরথী আম্মা (Bhageerathi Amma) চেয়েছিলেন সপ্তম শ্রেণীর পরীক্ষায় বসবেন। আর তাই তার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। তবে তা অপূর্ণ থেকে গেল।

কেরালা সাক্ষরতা মিশন পরীক্ষা নিয়েছিল ভাগীরথী আম্মা (Bhageerathi Amma)-র। সেখানে তিনি ৭৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছিলেন। আর অঙ্কে পেয়েছিলেন একশোয় একশো।

ভাগীরথী আম্মা (Bhageerathi Amma)-র লেখাপড়ার ইচ্ছাকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। 'মন কী বাত' (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে তাঁর ব্যাপারে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি পেয়েছিলেন ভারতী নারীশক্তি পুরস্কার। 

গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। বয়সজনিত অসুখে ভুগছিলেন ভাগীরথী আম্মা। শুক্রবার ভোররাতে তাঁর জীবনাবসান হয়। সেইসঙ্গে শেষ হল এক অধ্যায়।

বলা হয় মানুষ চেষ্টা করলে সব। সে কথা তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন। বয়সকে হেলায় হার মানিয়ে বসে গিয়েছিলেন লেখা করতে। এবং সে কাজ সফলও হয়েছিলেন।

সেটা ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের কথা। মন কী বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর কথা উল্লেখ করেন। তাঁর কৃতিত্বের কথা দেশের মানুষকে জানান।

কেরলের কোল্লামের ওই প্রবীণ মানুষটি দেশের মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা। ভাগীরথী আম্মার স্বামী মারা গিয়েছিলেন তাঁর যখন ৩০ বছর বয়স তখন। আর তারপর তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ছেলেমেয়েদের মানুষের কাজে।

Advertisement

আর তাই লেখাপড়ার ব্য়াপারে আর সময় করতে পারেননি। সে সব ছেড়ে দিতে হয়েছে। তবে ইচ্ছাটাকে মরে যেতে দেননি। তার প্রমাণ মিলেছে বেশ কয়েক দশক পর।

বলা যেতে পারে, তাঁর কর্তব্য শেষ হওয়ার পর শুরু করেছিলেন নিজের স্বপ্নপূরণে। মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েছিলেন সেই কাজে। ফলে হয়তো প্রতিফলিত হয়েছিল তাঁর ইচ্ছাশক্তি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই সে সময় জানিয়েছিল, কেরলের সাক্ষরতা মিশন জানিয়েছে, তিনি সে রাজ্যের সাক্ষরতা মিশনের সবথেকে প্রবীণ যিনি এ জাতীয় স্তরে লেখাপড়া করেছেন।

 

Advertisement