
Maths Calcutta Mathematical Society: অঙ্কের ভয় দূর করতে গণিত মেলার আয়োজন করা হল। অঙ্ককে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। একটু ভাবলেই সব অঙ্কের সমাধান করা যায়। যেন এ কথাই বোঝানো হল পড়ুয়াদের। এই উদ্যোগ নিয়েছিল কলকাতা ম্যাথমেটিক্যাল সোসাইটি।
অঙ্কে ভালবাসা বাড়াতে
শনিবার সেই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অঙ্ক-ভীতি দূর করতে, অঙ্কের প্রতি আরও ভালবাসা তৈরি করতে নদিয়া জেলার চাকদা রামলাল অ্য়াকাডেমিতে সেই আসর বসে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কলকাতা ম্যাথমেটিক্যাল সোসাইটির উদ্যোগে রাজ্যস্তরের গণিত বিষয়ক কর্মশালা 'গণিত মেলা'য় আয়োজন করা হয়েছিল।
বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়ারা
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন স্কুলের প্রায় ৫০০ ছাত্রছাত্রী গণিত বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নিয়েছে। তাদের উৎসাহ ছিল দেখার মতো। কেমন লাগল, তার ফিডব্য়াক নেওয়া হয় অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের কাছ থেকে।
এর আগে কলকাতা ম্যাথমেটিক্যাল সোসাইটি এ রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। তবে করোনার পর এই প্রথম মেলার আয়োজন। দিনভর চলে অঙ্ক নিয়ে চর্চা। কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্টজন।
কী হয়েছিল সেখানে?
ওই কর্মসূচির একটা বিশেষ দিক ছিল বিভিন্ন ধরনের অঙ্ক বিষয়ক মডেল, পোস্টার এবং কুইজ প্রতিযোগিতা। বিশেষজ্ঞ গণিত শিক্ষকদের কাছ থেকে সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল। গণিত বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মডেল তৈরি করা হয়েছিল। গাণিতিক সূত্র যাতে আরও ভাল করে বুঝতে পারে পড়ুয়ারা। যাতে অঙ্ক যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে তাদের কাছে। চোখের সামনে সেগুলো রয়েছেন, এমনটা মন হয়।
আরও পড়ুন: এবার গোসাবায় বাঘের পায়ের ছাপ, পৌঁছেছে বন দফতর
আরও পড়ুন: রোজ জমা করুন ৬৭ টাকা, ৫ বছরে আপনার সন্তান লাখপতি
আরও পড়ুন: এবং ঈপ্সিতার কলমে রাজর্ষির 'লেডি ম্যাকবেথ' মিথিলা! কীভাবে সম্ভব হল?
উপস্থিত ছিলেন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক তপনকুমার বিশ্বাস, কলকাতা ম্যাথমেটিক্যাল সোসাইটির সহ-সম্পাদক, উচ্চশিক্ষা দফতরের যুগ্ম-অধিকর্তা এবং পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা ড. পার্থ কর্মকার, চাকদা রামলাল অ্য়াকাডেমির প্রধান শিক্ষক ড. রিপন পাল স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
আয়োজকরা জানাচ্ছন
পার্থ কর্মকার বলেন, এ ধরনের শিক্ষা বিষয়ক কর্মসূচিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজনীয়। কুইজ, বিতর্ক, মডেল নির্মাণ,পোস্টার তৈরি-এসবের মধ্যে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অঙ্ক ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ের প্রতি আগ্রহ ও অনুরাগ তৈরি হয়। ক্যালকুলেশন কত সহজে করা যেতে পারে, সেগুলো দেখানো হয়েছে। যাতে তাদের উৎসাহ আরও বাড়ে।
তিনি বলেন, অঙ্ক তো সবারই লাগবে। যে পড়ুয়া এখন স্কুলে বা কলেজে, তার তো লাগবেই। তবে এর পাশাপাশি বিভিন্ন পেশায় অঙ্কের দরকার রয়েছে। যেমন কোনও দোকানি বা মাছ বিক্রেতা। তাঁরা মুহূর্তের মধ্যে দাম হিসেব করে দিতে পারেন। কী করে তা করা যায়, সে ব্য়াপারে পড়ুয়াদের জানানো হয়েছে। যাতে বড় বড় ক্যালকুলেশন সহজে সেরে ফেলা যায়। ক্লাস ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য আলাদা- আলাদা ক্লাসে আলোচনার ব্যবস্থা ছিল।
কলকাতা ম্যাথমেটিক্যাল সোসাইটির সম্পাদক তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অরিন্দম ভট্টাচার্য তাঁর ভাষণে, এই সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা, বাংলার বাঘ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে ছাত্রীদের উৎসাহিত করেন। চাকদা রামলাল অ্যাকাডেমিতে বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষার জন্য এক স্মার্ট ক্লাসরুমের উদ্বোধন করা হয়।