পাইলট হওয়া এবার আরও সহজ। কেবলমাত্র বিজ্ঞান নয়, এবার অন্য যে কোনও স্ট্রিমের ছাত্রছাত্রীরাও কমার্শিয়াল পাইলট হওয়ার পরীক্ষায় বসতে পারবেন। অর্থাৎ বাণিজ্য কিংবা কলা বিভাগের পড়ুয়ারাও পাইলট হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে পারবেন। এমন প্রস্তাবই পাশ করেছে ডিরেক্টর জেনারল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)।
কমার্শিয়াল ফ্লাইটের পাইলট হিসেবে লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে আর শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না। ইতিহাস, দর্শন কিংবা অর্থনীতি পাশ করা ছাত্রছাত্রীও এই লাইসেন্স পাওয়ার সুযোগ পাবেন। বিজ্ঞান ছাড়া অন্য বিভাগের উত্তীর্ণদের জন্য এই কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (CPL) ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ থাকছে। DGCA-র সম্মতি দেওয়া এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা।
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অনুমোদন মিললে পাইলট হওয়ার ক্ষেত্রে কী কী ক্রাইটেরিয়া থাকতে হবে আবেদনকারীর?
> দ্বাদশ পাশ করতে হবে আবেদনকারীকে।
> আগে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যা বিষয়দু'টি থাকা বাধ্যতামূলক ছিল।
> DGCA চায় এক্ষেত্রে বাণিজ্য এবং কলা বিভাগের বিষয় নিয়ে পড়লেও পাইলট ট্রেনিংয়ে সুযোগ দেওয়া হোক আবেদনকারীদের।
> পাইলট হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা রয়েছে। (১৭-২৪ বছর)
> প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে পাইলট ট্রেনিং কোর্সে সুযোগ পাওয়ার পর প্রশিক্ষণ নিতে বেশ কয়েকটি ধাপ পেরোতে হয়। চ্যালেঞ্জিং এই প্রশিক্ষণ শেষে দিতে হয় শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষাও। ভাল দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবণ ক্ষমতাও পরীক্ষা করা হয়।
এখন অপেক্ষা কেবলমাত্র অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের গ্রিন সিগনালের। অন্যতম গ্ল্যামারাস এই পেশায় পা বাড়ানো আরও সহজ হয়ে যাবে সেক্ষেত্রে।