আর কিছুক্ষণ পরেই প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা। ৫ বছর পর হচ্ছে এই পরীক্ষা। এবছর পরীক্ষা দিচ্ছেন মোট ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থী। ১ হাজার ৪৬০টি কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছতে শুরু করেছেন পরীক্ষার্থীরা। খুলে গিয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি। ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হবে। বেলা ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা।
পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছতে পারেন তার জন্য রাখা হয়েছে স্পেশাল ট্রেন, বাস ও মেট্রো পরিষেবা। তবে তা সত্ত্বেও কোথাও কোথাও যানজটের জেরে পরীক্ষার্থীদের বিপাকে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আবার সুযোগ বুঝে অটো-টোটোওয়ালাদের একাংশের বিরুদ্ধে উঠতে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও।
এই বছর পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করতে আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না কোনও পরীক্ষার্থী। পরতে পারবেন না গয়না। এছাড়া বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত ৬ জেলায় বন্ধ থাকছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ওই ৬ জেলা হল দুই দিনাজপুর, মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদ। এছাড়াও সর্বত্র মোতায়েন থাকছে পুলিশ।
এই বছর পরীক্ষার্থীদের ২টি করে ওএমআর শিট দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার পর কোনও প্রার্থী কেন্দ্রে পৌঁছলে তাঁকে পরীক্ষায় বসায় অনুমতি দেওয়া হবে না। পরীক্ষার হলে ঢোকার জন্য প্রার্থীকে ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা অ্যাডমিট কার্ডের প্রিন্ট আউট নিয়ে যেতে হবে। বৈধ অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া কাউকেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেবে না পর্ষদ। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে বসতে হবে নিজেদের রোল নম্বর অনুযায়ী। প্রার্থীদের নির্ধারিত আসন খুঁজে বের করতে হবে ও সেখানেই বসতে হবে। নির্দিষ্ট আসনে না বসলে বা অন্য কোথাও দেওয়া যাবে না পরীক্ষা। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য। এখন দেখার এদিনের পরীক্ষা কতোটা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারে পর্ষদ।
আরও পড়ুন - মান্দাসের প্রভাবে বঙ্গে উধাও শীত, কবে ফিরবে ঠান্ডা?