ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় প্ল্যাটফর্মে লেখা স্টেশনের নাম তো সবাই দেখেছেন, কিন্তু কখনও কি খেয়াল করেছেন যে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনেও রেলস্টেশন বা জায়গার নাম লেখা থাকে। যদি কখনও এই জিনিসটি লক্ষ্য করে থাকেন তবে কি ভেবে দেখেছেন, কেন এমনটা হয়?
বাইক বা গাড়ির মতো ট্রেনেরও মেরামতের প্রয়োজন হয়। প্রতিটি ইঞ্জিন মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লোকো শেড প্রয়োজন। এবার নিশ্চয় ভাবছেন এই লোকো শেড আবার কী? প্রতিটি রেল ইঞ্জিনের সামনে স্টেশনের নাম লেখা থাকে, যার অর্থ এটি সেই লোকো শেডের।
প্রতিটি জোনে বিভিন্ন শেড তৈরি করা হয়। এছাড়াও ২ ধরণের লোকো শেড রয়েছে, ডিজেল এবং বৈদ্যুতিক। এই শেডগুলিতে ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ এবং ট্রেনের ইঞ্জিন স্থাপন করা হয়। এই নামটি লোকো বডির পাশে এবং সামনে ও পিছনে লেখা থাকে। লোকো শেডে ইঞ্জিন মেরামতি, রং করা, পরিষ্কার করা ইত্যাদি কাজ হয়।
লোকোশেডের মাধ্যমে ইঞ্জিনের নাম দেওয়ার সুবিধা হল, কখন এবং কোন লোকোতে কোন ইঞ্জিনের মেরামতির কাজ হয়েছে সেই বিষয়ে রেলকে বিশদে তথ্য দেওয়া।
আরও পড়ুন - কর্মীর অ্যাকাউন্টে ভুল করে ঢুকল একসঙ্গে ২৮৬ মাসের মাইনে, তারপর...