করোনার তৃতীয় ওয়েভ আসুক বা না আসুক, স্কুল খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরের বেশি স্কুলের মুখ দেখেনি ছাত্রছাত্রীরা।
শিশু মনস্তত্ব নিয়ে চিন্তিন শিক্ষা দফতর
বিশেষ করে কচিকাঁচারা স্কুলে ভর্তি হয়েছিল, কিন্তু আদৌ স্কুলে যেতে পারেনি। তাদের কাছে স্কুলের পরিচিতি করানো, একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিংবা যারা স্কুলে গিয়েছিল সবে, দ্বিতীয় বছরে যাদের মাথার উপর নেমে এসেছিল না-স্কুলের খাঁড়া। তাঁরাও সদ্য হওয়া বন্ধুদের কাছে ফিরতে চান তাঁরা। কিন্তু বাবা-মায়েরা সন্ত্রস্ত।
শিক্ষকদের মধ্যেও শূণ্যতা তৈরি হয়েছে !
পাশাপাশি দীর্ঘদিন স্কুলে না পড়িয়ে মরচে খানিকটা পড়েছে শিক্ষকদের মধ্যেও। তাই কিছু প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে শিক্ষা দপ্তরের মধ্যে। পঠন-পাঠন শুরু হলেও পড়ুয়ারা কি আগের মত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন ! আইসোলেশন, সোশ্যাল ডিসটেন্স, মাস্ক-স্যানিটাইজার, এই সমস্ত বিষয়গুলি যথাযথভাবে বজায় রেখে আদৌ ক্লাস করা সম্ভব ? অথবা শিক্ষকদের পক্ষ কি আগের মত স্বচ্ছন্দে পড়িয়ে চলা সম্ভব !
সেপ্টেম্বর থেকে শুরু প্রশিক্ষণ
সব কিছু নিয়েই একটা অদ্ভুত আশঙ্কা গ্রাস করেছে শিক্ষা মহলে। তাই স্কুল খোলার আগেই এবার পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটাতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে শিক্ষা নয়, স্বাস্থ্য দপ্তর। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই শুরু হবে প্রতিটি স্কুলে এই প্রশিক্ষণ।
স্কুল খুলতে কিছু পদক্ষেপ করা হচ্ছে
স্কুল খুললে শিক্ষকরা যাতে পড়ুয়াদের মানসিক সমস্যা বুঝে তাদের সঙ্গে আর্থিক যোগাযোগ বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং কোনও রকম দূরত্ব তৈরি না হয়. সেই বিষয়টি মাথায় রেখে ক্লাস করা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পরেশ অধিকারী জানিয়েছেন স্কুল খোলার বিষয়ে মোটামুটি প্রস্তুত। তবে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা, দর্শন শাস্ত্রের শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। এতে শিক্ষকদের পক্ষে উপকার হবে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও সেপ্টেম্বরে শুরু হবে প্রশিক্ষণ।
তৈরি করা হয়েছে প্রশিক্ষণের রূপরেখা
আপাতত একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, প্রায় এক ঘণ্টা করে প্রশিক্ষণ চলবে। সেখানে একঘেয়েমি কাটানোর সঙ্গে, মেলামেশার অভ্যাস তৈরি করা, কীভাবে সমস্ত কিছু মেনে ক্লাস ঠিকমতো করা হবে, স্বাস্থ্য সচেতনতার সমস্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং তাঁর মনোনীত অন্য দুজন শিক্ষকরা ছাত্র এবং অন্যান্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নেবেন। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাসহ সমস্ত মহলই।