বর্ধমান সিএমএস স্কুলের ছাত্র রৌনক মণ্ডল। মাধ্যমিকের প্রথম স্থানাধিকারী। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। ফল দেখে তাঁর প্রতিক্রিয়া,'১ থেকে ১০-র মধ্যে খাকব ভেবেছিলাম। এতটা আশা করিনি।' বাঁকুড়ার রাম হরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অর্ণব ঘড়াই। যুগ্ম প্রথম। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। অর্ণবের কথায়,'এতটা ভাল হবে ভাবিনি। মা আমায় খুব গাইড করেছে।' মাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে কৌশিকী সরকার। মালদহ গাজোলের আদর্শবাণী হাইস্কুলের ছাত্রী। ৬৯২ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে সে। তৃতীয় স্থানাধিকারী পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের অনন্যা দাশগুপ্ত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।
বর্ধমান সিএমএস স্কুলের ছাত্র রৌনকের পছন্দের বিষয় জীবনবিজ্ঞান এবং অঙ্ক। সাত জন শিক্ষকের কাছে পড়াশুনো করত সে। ইচ্ছে ডাক্তার হওয়া। সেজন্য নিট পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছে। পড়াশুনোর পাশাপাশি সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা এবং কল্পবিজ্ঞান পড়তে ভাল লাগে রৌনকের। গান করতেও ভাল লাগে তার। বেশি ভাল লাগে রবীন্দ্র সঙ্গীত। সে জানিয়েছে, 'আগামী দিনে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছেন স্কুল ও প্রাইভেট টিউশনের স্যররা এবং অবশ্যই বাবা-মা।'
যুগ্ম প্রথম বাঁকুড়ার রাম হরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের পড়ুয়া অর্ণব ঘড়াই। অর্ণবের বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে। রৌনকের মতোই সে-ও ডাক্তার হয়ে চায়। করোনায় বাড়ি চলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় স্কুলের শিক্ষকরা অনলাইন ক্লাস নেন। সেটা অনেকটা সাহায্য করেছে তাকে। সাফল্যের কৃতিত্বও স্কুলকেই দিয়েছে অর্ণব। তার কথায়,'স্কুল থেকে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করানো হত। আলাদা কোনও সমস্যা থাকলে ব্যক্তিগত ভাবে শিক্ষকরা সমাধান করে দিতেন।' তাছাড়া ইংরেজি, অঙ্ক, জীবনবিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞানের জন্য চারজন গৃহশিক্ষকও ছিলেন। অর্ণব জানিয়েছে, ডাক্তার হওয়ার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করেছি।এখানে (নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন স্কুল) যে শিক্ষকরা পড়ান তাঁরা খুবই ভাল। সফল হতে গেলে নিজেকেও পড়তে হবে।'
মালদহ গাজোলের আদর্শবাণী হাইস্কুলের ছাত্রী কৌশিকী সরকার মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। মেয়েদের মধ্যে প্রথম সে। সারাক্ষণ বই নিয়ে বসে থাকে না। রাতজেগেও কোনওদিন পড়েনি। সকাল ৭টার আগে তার ঘুমও ভাঙে না। ড়াশোনার পাশাপাশি আবৃত্তি ও নাচ করতে ভালবাসে সে। নাচ বন্ধ হলেও আবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছে কৌশিকী। ভবিষ্যতে সে ডাক্তার হতে চায়।
মেধাতালিকায় যুগ্মভাবে দ্বিতীয়স্থানাধিকারী ঘাটালের রৌনক মণ্ডল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্য়ালয়ের ছাত্র দিনে ৮-৯ ঘণ্টা পড়াশুনো করত। গৃহশিক্ষকদের সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছে রৌনক।
সারাদিনই পড়াশুনোয় মগ্ন থাকত তৃতীয় স্থানাধিকারী পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের অনন্যা দাশগুপ্ত। আসানসোল উমারানি গড়াই মহিলা কল্যাণ গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী পড়াশুনোর পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে খুব ভালবাসে। ছবিও আঁকে। মাধ্যমিকের আগে নাওয়া-খাওয়া ভুলে পড়াশুনো করেছে সে।
মাধ্যমিকে যুগ্ম তৃতীয় পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার দেবশিখা প্রধান। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। তার লক্ষ্য ডাক্তারি। তার কথায়,'বাবা আমাকে চিকিৎসকের পোশাকে দেখতে চায়। ওঁর স্বপ্ন পূরণ করাই এখন আমার লক্ষ্য।'
আরও পড়ুন- মাধ্যমিকে কত পেলেন? রোল নম্বর-জন্মতারিখ দিয়ে এখানে দেখুন রেজাল্ট