মাঝেমধ্যে কেউ ছুঁলে আচমকা কারেন্ট লাগে? নেপথ্যের বিজ্ঞানটি জানুন

যখন আপনি আপনার অফিসে বা ঘরে বসে কোনও কাজ করছিলেন, এমন সময় আপনাকে ছুঁয়ে দিলে বিদ্যুতের শকের মত অনুভব হয়। ওই সময় লোকেরা এটা বলে কথাটি ঘুরিয়ে দেন যে কখনও কখনও মনে হয় যে এটাই, কারেন্ট লেগেছে। কিন্তু এর পেছনে বিজ্ঞানের বিষয়টি মানুষ খুব কমই জানে। জানুন এর পিছনের বিজ্ঞান।

Advertisement
মাঝেমধ্যে কেউ ছুঁলে আচমকা কারেন্ট লাগে? নেপথ্যের বিজ্ঞানটি জানুনকেউ আচমকা ছুঁয়ে ফেললে শক লাগে কেন?
হাইলাইটস
  • কেউ আচমকা ছুঁয়ে ফেললে শক লাগে
  • কেন এমন হয় জানেন?
  • বিদ্যুতের পিছনের বিজ্ঞান জানুন

যখন আপনি আপনার অফিসে বা ঘরে বসে কোনও কাজ করছিলেন, এমন সময় আপনাকে ছুঁয়ে দিলে বিদ্যুতের শকের মত অনুভব হয়। ওই সময় লোকেরা এটা বলে কথাটি ঘুরিয়ে দেন যে কখনও কখনও মনে হয় যে এটাই, কারেন্ট লেগেছে। কিন্তু এর পেছনে বিজ্ঞানের বিষয়টি মানুষ খুব কমই জানে। এখন ভাবার বিষয় হল যে বিদ্যুৎ ছাড়া শরীরে কারেন্ট কীভাবে লাগে?এর কারণ লুকিয়ে রয়েছে। আসুন আমরা বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে জানার চেষ্টা করি যে, এর পেছনে আসলে বিষয়টি কী?

এই মরশুমে বেশি কারেন্ট লাগে,

বিজ্ঞান বলছে যে প্রথমে এ বিষয়টি ফ্যাক্ট জেনে নিন, আসলে আপনি নজর করে থাকবেন যে এই ধরনের বেশিরভাগ ঝটকা শীতকালে বেশি লাগে। এমন, এ কারণে হয় কারণ ঠান্ডার সময় হাওয়ায় আর্দ্রতা বেশি থাকে, যাতে অল্প একটু ঝটকা লাগাতেই অনেক বেশি বলে মনে হয়। আসলে একে ফিলিংস স্পার্ক এর কারনে হয়।

কেন এই কারেন্ট লাগে?

এই সমস্যা সমাধান জানার জন্য আমাদের ডঃ অঙ্কিত গুপ্তার কাছে পৌঁছেছিলাম। তিনি একজন নিউরোলজিস্ট। তিনি জানান যে তাঁর কাছে এমন কেস লাগাতার আসে, যেখানে ডাক্তার অঙ্কিত গুপ্তার বক্তব্য অনুযায়ী আমাদের শরীরের রগ এবং শিরায় ইলেকট্রিক্যাল অ্যাক্টিভিটি প্রত্যেক সময়ই থাকে। এটি শরীরে কাজ করতে থাকা বেসিক মেকানিজম যেমন আমাদের ঘরে বিদ্যুতের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমাদের দেখতে হবে যে তামার তার এর উপরে প্লাস্টিকের কোটিং অবশ্যই থাকে। ঠিক ওইভাবে শরীরের শিরা-উপশিরার উপরে আমাদের কোটিং থাকে একে মেডিকেল ভাষায় মেলিন শিট বলে। কিন্তু কখনও কখনও এই মেলিন শিট ডিসব্যালেন্স হয়ে যায়। এমন সময় হয় যে, যখন আমাদের শরীর একই পরিস্থিতিতে অনেকক্ষণ ধরে থাকে। এই সময় শরীরে ইলেকট্রনস ডিসটার্ব হয়ে যায় এবং যদি কেউ আচমকা ছুঁয়ে দেয় তাহলে শিরা-উপশিরা মেলিন শিটে তখনই অ্যাকটিভ হয়ে যায় এবং শরীরের একটা ঝটকা অনুভব হয়।

Advertisement

কারও বেশি, কারও কম, কারও একেবারেই লাগে না

অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে কর্মরত ডঃ অঙ্কিত গুপ্তা জানিয়েছেন যে এই কারেন্টের ঝটকা বোঝা সবার শরীরে যায় না। মানুষের নিজের সেনসিটিভিটির উপর এটি ডিপেন্ড করে। যেমন কেউ ঠান্ডা কেউ গরম বেশি অনুভব করে, ঠিক সেভাবেই এই ঝটকাও কেউ কম কেউ বেশি অনুভব করে।

প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে থাকলে বেশি অনুভব হয় এই ধরনের ঝটকা

আরও একটি ফ্যাক্ট সামনে এসেছে যে, প্রায় এই ঝটকা তখন অনুভব হয়, যখন আমরা প্লাস্টিকের চেয়ারের উপর বসে থাকি। আসলে যখন আমরা প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে থাকি তখন মাটিতেও পা রাখি এবং ছুঁই তখন প্লাস্টিকের চেয়ার আমাদের শরীর থেকে আলাদা হওয়া ইলেকট্রনকে জমা করে নেয়। যখন আপনি চেয়ারে বসে থাকেন, তখন আপনার সঙ্গে চার্জ থাকে। চেয়ার থেকে ওঠার সময় সমস্ত চার্জ চেয়ারে চলে যায়। তখন চেয়ার ছুঁলে আপনি অনুভব করবেন শক লাগার মতো।

এটা কি আশঙ্কার ?

এমনিতে শরীরের মেকানিজম সাধারণ প্রক্রিয়া। সাধারণভাবে ডক্টর এ কারণে শরীরে ভিটামিন বি টুয়েলভ এবং বি ওয়ানের ঘাটতি হওয়ার মত কারণ মনে করেন। কিন্তু যদি কোনও ব্যক্তিকে একদিনে এমন কারেন্টের ঝটকা একাধিকবার অনুভব হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

POST A COMMENT
Advertisement