দ্রুত ১৫ হাজার স্কুল শিক্ষক নিয়োগ করার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আদালতে মামলার জট কাটিয়ে দু' মাসের মধ্যেই ১৫ হাজার স্কুল শিক্ষককে নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু এ দিন বিধানসভাতে এ ধারণা পোষণ করেছেন তিনি ৷ ব্রাত্যবাবুর দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ চলছে। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে যে মামলা চলছে তা যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চলছে ৷
এদিন বিধানসভায় ব্রাত্য বসু বলেন, ''হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই কাজ হচ্ছে ৷ আদালতের তরফে আমাদের তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে ৷" জানানো হয়, ছ' জন সরকারি অফিসার রোজ বসে অভিযোগ শুনছেন, নিষ্পত্তি করছেন ৷ সেই তালিকা রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে আদালতে জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি ৷
মুখ্যমন্ত্রীর সব সময় ব্যাপক কর্ম সংস্থান চান বলে জানান তিনি। তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা রয়েছে, তাই তার বাস্তবায়নের জন্য যা কিছু করা সম্ভব, আমরা তা দ্রুততার সঙ্গে করব৷
আদালতে মামলা চলার জেরে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া এই মুহূর্তে থমকে রয়েছে ৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগের শুনানি চালাচ্ছে কমিশন ৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, দ্রুত অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে শিক্ষা দফতরের তরফে বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে ৷ তাঁরা আশাবাদী সদর্থক ভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জট খুলবে।
কমিশনের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ শোনার পাশাপাশি আইনজীবীদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনেই সব প্রক্রিয়া শেষ করে দু' মাসের মধ্যেই ১৫ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ করা সম্ভব হবে৷
কমিশন সূত্রে খবর, এখনও প্রায় পাঁচ হাজার চাকরিপ্রার্থীর মামলা নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। ইতিমধ্যেই গত ৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগের নিষ্পত্তি করার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আরও প্রায় ১২০০ চাকরিপ্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।