Amit Shah in Bengal: মমতা মা-মাটি-মানুষের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু এটা মোল্লা-মাদ্রাসা ও মাফিয়াদের সরকার তৈরি হয়েছে। এমনটাই বললেন অমিত শাহ। এদিন পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুরে সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানকার লোকসভা প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে জনসভা করেন। আর সেই মঞ্চ থেকেই 'তুষ্টিকরণ' ইস্যুতে বারবার তৃণমূল সরকারকে বিঁধলেন অমিত শাহ।
এদিন ভাষণের প্রায় শেষের দিকে অমিত শাহ বলেন, 'মমতাদিদি মা, মাটি আর মানুষের কথা বলে এসেছিলেন। আর সরকার তৈরি হল মোল্লা, মাদাস্রা ও মাফিয়াদের। মা-মাটি-মানুষের সরকার যদি ফিরিয়ে আনতে চান, তাহলে শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদীই সেটা করতে পারেন।'
অমিত শাহ বলেন, 'আপনারা মোদীজিকে ১৮ সিট দিলেন, দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী বানালেন। মোদীজি ৫ বছরের মধ্যেই রামমন্দিরের কেস জিতলেন, ভূমি পুজো করলেন আর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে জয় শ্রী রাম করে দিলেন।'
टीएमसी के तुष्टिकरण और भ्रष्टाचार के खिलाफ पश्चिम बंगाल की जनता एकजुट हो चुकी है। बर्धमान पूर्व लोकसभा से लाइव...
তৃণমূলের তোষণ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ একজোট হয়েছে। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা থেকে লাইভ ... https://t.co/wHxXehrmpUআরও পড়ুন
— Amit Shah (Modi Ka Parivar) (@AmitShah) April 30, 2024
এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তুষ্টিকরণের রাজনীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, 'বহু বছর ধরে আমাদের দেশের জনগণ ও রামভক্তরা চাইতেন, অযোধ্যায় রামমন্দির হোক। কিন্তু এঁরা আটকে রেখে দিয়েছিলেন। আর যখন রামমন্দির তৈরি হল, তখন ওঁদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। মমতাদিদি আর ভাইপোকেও দেওয়া হল। কিন্তু ওঁরা গেলেন না। বর্ধমানবাসীরা জানেন, কেন ওঁরা গেলেন না? ওঁরা অনুপ্রবেশকারীদের থেকে ভয় পান, সেই কারণে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাতে যাননি।'
তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'কাশ্মীর আমাদের কি না? ৩৭০ ধারা ওঠা উচিত ছিল কিনা? এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ৩৭০ ধারা তোলা যাবে না। ওনার কথায় দেশ চলে না। দেশের জনগণ চান কাশ্মীরে ভারতীয় তেরঙ্গা আকাশে উড়ুক।'
তিনি বলেন, 'আমাদের কর্মীদের উপর চরস-গাঁজার কেস করা হচ্ছে। কিন্তু আদালত তাদের নির্দোষ বলে জানিয়েছে। আমাদের নির্দোষ, গরিব কর্মীদের উপর মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে।'
এরপর দুর্নীতি ইস্য়ুতে অমিত শাহ বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে এত টাকা মিলেছে যে এই পুরো স্টেজটা ভরে দেওয়া যাবে। একটি মন্ত্রীর ঘর থেকে মিলেছে ৫১ কোটি টাকা।'