বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে এবার বাড়তি নজর মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। এই কেন্দ্রটি কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর গড় নামেই পরিচিত। এবার কংগ্রেসের গড়ে জোড়াফুল ফোটাতে তৃণমূলের বাজি প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী, এগিয়ে রয়েছেন অধীর। পিছিয়ে রয়েছেন ইউসুফ।
তবে শেষ পর্যন্ত বহরমপুর কেন্দ্রে কে জিতবেন? তার জন্য আর কিছু সময়ের অপেক্ষা।
বহরমপুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড় হিসাবেই পরিচিত। সেই অধীরের কেন্দ্রে তৃণমূল এবার প্রার্থী করেছে ইউসুফকে। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল। ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর দাবি ছিল, দুর্বল প্রার্থী দিয়ে আসলে অধীরকেই জেতার সুযোগ করে দিল তৃণমূল। নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোরও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। যদিও পরে তিনি সুর বদলেছেন। পরে ইউসুফের পাশেই দেখা গিয়েছে হুমায়ুনকে। অধীরের কেন্দ্রে ইউসুফ 'বহিরাগত' প্রার্থী বলে সরব হয়েছিলেন হুমায়ুন। 'বহিরাগত' শব্দটি উল্লেখ করেছে রাজ্যের বিরোধী শিবিরও। এই প্রেক্ষাপটে মুখ খুলে ইউসুফ বার্তা দেন যে, তিনি বহিরাগত নন।
বুথফেরত সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ২৬-৩১টি আসন, তৃণমূল পেতে পারে ১১-১৪টি আসন। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২টি আসন। বিভিন্ন সংস্থা বুথ ফেরত সমীক্ষা চালায়। ভোটারদের মনোভাবের উপর ভিত্তি করে এই সমীক্ষা করা হয়। এক্সিট পোলের ফল দেখে ভোটের ফল নিয়ে মোটামুটি আন্দাজ পাওয়া যায়। তবে সবসময় যে এক্সিট পোলের গণনা একদম সঠিক হয়, তা কিন্তু নয়। অতীতে বহুবার দেখা গিয়েছে, এক্সিট পোলের ফলাফল বাস্তবে মেলেনি। তাই এক্সিট পোলের গণনা যে পুরোপুরি মিলে যাবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।