scorecardresearch
 

Birbhum Lok Sabha: বীরভূমের রাঙামাটিতে এবারও ঘাসফুল? অঙ্কে কিন্তু অনেক বদল

Birbhum Lok Sabha Election 2024: জেলার তৃণমূল সভাপতি তিহাড় জেলে রয়েছেন। কিন্তু সেই অনুব্রতকে সামনে রেখেই ভোট ময়দানে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও তৃণমূল ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে অভিনেত্রী শতাব্দী রায়কেই।  আবার বিজেপি-র বাজি প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধর। কংগ্রেস এই লোকসভায় প্রার্থী করেছে মিল্টন রশিদকে।

Advertisement
Birbhum Lok Sabha Seat Birbhum Lok Sabha Seat
হাইলাইটস
  • ২০০৯ থেকেই তৃণমূলের দখলে
  • বিজেপি-র দেবাশিস ধরকে নিয়ে বিক্ষুব্ধ দুধকুমার
  • বিধানসভায় দাপট ছিল তৃণমূলের

লাল পাহাড়ের দেশ। রাঙা মাটির দেশ। কবি গুরুর শান্তিনিকেতন, বামাখ্যাপার তারাপীঠ, সোনাঝুরির জঙ্গল, কঙ্কালিতলা-- বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম হল বীরভূম। গ্রীষ্মে তীব্র দহন। শীতে তেমনই হাড় কাঁপানো ঠান্ডা।  জঙ্গলমহলের অন্যতম জেলা। এহেন বীরভূমে এবারের লোকসভা ভোটে দেখা যাবে আকর্ষণীয় লড়াই। বীরভূমের রাজনীতিতে এ বছর অনুব্রত মণ্ডল নেই। আবার আছেনও। জেলার তৃণমূল সভাপতি তিহাড় জেলে রয়েছেন। কিন্তু সেই অনুব্রতকে সামনে রেখেই ভোট ময়দানে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও তৃণমূল ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে অভিনেত্রী শতাব্দী রায়কেই।  আবার বিজেপি-র বাজি প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধর। কংগ্রেস এই লোকসভায় প্রার্থী করেছে মিল্টন রশিদকে।

২০০৯ থেকেই তৃণমূলের দখলে

বীরভূম জেলার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত হয়েছে এই লোকসভা। বীরভূম লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল- দুবরাজপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, হাঁসন, নলহাটি, মুরারই।  এই লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ তারকা-সাংসদ শতাব্দী রায়। তৃণমূলের টিকিটে টানা তিনবার এই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন তিনি। ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ তিন বারই জিতেছেন। বস্তুত, ২০০৯ সালে বাম আমলেই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। শতাব্দী রায় সেই বছর হারিয়ে দেন সিপিআইএম-এর ব্রজ মুখোপাধ্যায়কে। তারপর থেকে আর এই কেন্দ্র হাতছাড়া হয়নি তৃণমূল কংগ্রেসের। বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাপটে মজবুত সংগঠন তৈরি হয়। ২০১৯ সালে এই লোকসভা কেন্দ্রে জয়ের হ্যাটট্রিক করেন শতাব্দী। 

আরও পড়ুন

বিজেপি-র দেবাশিস ধরকে নিয়ে বিক্ষুব্ধ দুধকুমার

অন্যদিকে, ওই কেন্দ্রের এবারে বিজেপি প্রার্থী করেছেন আইপিএস অফিসার পদে সদ্য ইস্তফা দেওয়া দেবাশিস ধরকে। বিধানসভা ভোটে শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনার সময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন তিনি। ইস্তফা দেওয়ার ৯ দিনের মাথায় IPS থেকে সরাসরি ভোটযুদ্ধে নেমেছেন দেবাশিস ধর। দেবাশিস ধরকে নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভের সুর বীরভূমে বিজেপি-র প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলের গলায়। ২০১৯-র লোকসভা ভোটে বীরভূম কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে লড়ে হেরে যান দুধকুমার। তাঁর দাবি, এবার স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করলে অ্যাডভান্টেজ পেত বিজেপি। সাধারণ মানুষ এবং বিজেপি কর্মীদের কথা না শোনার খেসারত দিতে হবে দলকে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, 'দুধকুমার প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। তিনি প্রার্থী হলে যেভাবে ঝাঁপাতেন, আশা করব সেভাবেই দেবাশিস ধরের সমর্থনে প্রচার করবেন।'

Advertisement

বিধানসভায় দাপট ছিল তৃণমূলের

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিধানসভাওয়াড়ি ফল দেখলে দেখা যায়, বীরভূমে শক্তি বৃদ্ধি করেছে বিজেপি। ২০১৯ সালে বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। ৭টি বিধানসভার মধ্যে ৪টিতেই লিড ছিল বিজেপির। কিন্তু ২০২১ সালে সেই ধারা বজায় রাখতে পারেনি বিজেপি।  ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে এই লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে ৬টি দখল করে তৃণমূল। দুবরাজপুর কেন্দ্রে জেতেন বিজেপি প্রার্থী অনুপ কুমার সাহা। 

Advertisement