
PM Narendra Modi NominationPM Modi Nomination: মঙ্গলবার বারাণসী লোকসভা আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বারাণসী থেকে তৃতীয়বারের মতো লোকসভা নির্বাচনে লড়তে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে দশাশ্বমেধ ঘাটে কাল ভৈরবের দর্শন ও পুজো করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী যখন মনোনয়ন জমা দিতে যান, তখন তাঁর সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ অনেক বড় নেতারা ছিলেন।
কিন্তু আপনি কি এই একটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন? মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু রিটার্নিং অফিসার নিজের চেয়ারে বসে ছিলেন। তবে শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদীই নন, যে কোনও প্রার্থীর সামনেই চেয়ারে বসে থাকেন রিটার্নিং অফিসার। আসলে, এটি একটি 'প্রোটোকল'। যত বড় নেতাই মনোনয়ন জমা দিতে আসুন না কেন, রিটার্নিং অফিসার তাঁর সম্মানে উঠে দাঁড়াতে পারেন না। এটাকে তাঁর পদের নিরপেক্ষতা হিসাবেই ধরতে পারেন।
রিটার্নিং অফিসাররা কেন দাঁড়ান না?
রিটার্নিং অফিসার সেই জেলার প্রধান নির্বাচনী অফিসার। তিনি নিরপেক্ষ। সেই কারণেই প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করতে আসা ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হলেও বসে থাকেন রিটার্নিং অফিসার।
রিটার্নিং অফিসারই একমাত্র 'আইনি কর্তৃপক্ষ' এবং কেউ তাঁকে আদেশ জারি করতে পারে না। প্রোটোকলের কারণে মনোনয়ন প্রক্রিয়া চলাকালীন রিটার্নিং অফিসার তাঁর চেয়ারে বসে থাকেন।
ঠিক আদালতে যেমন ঘটে তেমনই ব্যাপার। যত বড় নেতা বা মন্ত্রীই আদালতে হাজির হন না কেন, বিচারক তাঁর চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান না। একইভাবে রিটার্নিং অফিসারও মনোনয়নের সময় উঠে দাঁড়ান না।
রিটার্নিং অফিসার এমনিতে কী চাকরি করেন?
জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২১ ও ২২ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন প্রতিটি আসনের জন্য একজন রিটার্নিং অফিসার এবং একজন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করে।

রিটার্নিং অফিসারই গেজেট বিজ্ঞাপন জারি থেকে শুরু করে ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী প্রার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান পর্যন্ত সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন।
সাধারণত রিটার্নিং অফিসাররা কালেক্টর বা ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার হন। উল্লেখ্য, রিটার্নিং অফিসাররাই প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করেন, তাঁদের হলফনামা প্রকাশ করেন, ভোট দেওয়ার জন্য ইভিএম এবং ভিভিপিএটি প্রস্তুত করেন, ভোট গণনা করেন এবং ফলাফল ঘোষণা করেন।
সব মিলিয়ে রিটার্নিং অফিসারদেরই সহায়তায় নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে। তাঁদের তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
বলাই বাহুল্য, নির্বাচনের সময় রিটার্নিং অফিসার অত্যন্ত ব্যস্ত থাকেন। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাঁদের সামনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যায়। সকাল ১১টার আগে ও বিকাল ৩টার পর কোনও প্রার্থীর মনোনয়ন গ্রহণ করেন না রিটার্নিং অফিসার।
বারাণসীতে কবে নির্বাচন?
বারাণসী লোকসভা আসনের জন্য আগামী ১ জুন শেষ ধাপে ভোট হবে। ২০১৪ সালে বারাণসী আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।