হুগলি পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি। জেলার চারটি মহকুমা রয়েছে - চুঁচুড়া সদর, শ্রীরামপুর, চন্দননগর এবং আরামবাগ। ঔপনিবেশিকতার আগে, হুগলি শহরটি ভারতে বাণিজ্যের জন্য একটি প্রধান বন্দর ছিল। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, হুগলি জেলার জনসংখ্যা হল ৫,৫১৯,১৪৫ জন৷ হুগলি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম অর্থনৈতিকভাবে উন্নত জেলা। এটি রাজ্যের পাট চাষ, পাট শিল্প এবং পাট ব্যবসার একটি প্রধান কেন্দ্র।
১৯৫২ সালের প্রথম লোকসভা নির্বাচন
স্বাধীনতার পর প্রথম লোকসভা নির্বাচনেই আসনে জয় পান হিন্দু মহাসভার এনসি চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি কংগ্রেস প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হন। ১৯৫৭ এবং ১৯৬২ সালে সিপিআই-এর প্রভাত কর জয়ী হন। ১৯৬৭ সালে এই আসনটি সিপিএম দখল করে এবং বি কে মোদক এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ সালে সিপিএম-এর বি কে মোদক এমপি হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত হন।
সিপিএমের আধিপত্য
১৯৮০ সালে সিপিএমের রূপচাঁদ পাল এই আসনে জিতেছিলেন। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর এখানে কংগ্রেসের ইন্দুমতি ভট্টাচার্য জয়লাভ করেন। তবে পরের লোকসভা ভোটেই আসনটিতে আবারও জেতেন রূপচাঁদ পাল। এরপর থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সিপিএম এই আসনে তার আধিপত্য বজায় রাখে। তবে, ২০০৯ সালে পরিবর্তনের ঝড়ে এই আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রত্না দে নাগ জেতেন। তিনি রূপচাঁদ পালকে পরাজিত করেন।
হুগলি লোকসভায় মোট কতগুলি বিধানসভা আছে
হুগলি লোকসভার অধীনে মোট ৭টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি হল বলাগড়, ধনেখালি, চুঁচুড়া, চন্দননগর, সিঙ্গুর, পান্ডুয়া, সপ্তগ্রাম। এই কেন্দ্রে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ৮২.৪৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
২০১৪ সালের ফলাফল: ২০১৪ সালেও এই আসনে জেতেন তৃণমূলের রত্না দে নাগ। সেবার তিনি মোট ভোট পেয়েছিলেন ৬,১৪,৩১২ ভোট।
২০১৯ সালের ফলাফল: ২০১৯ সালে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্য়ায় এই আসনে জেতেন। তিনি ৬,৭১,৪৪৮ ভোট পেয়ে আসনটি জেতেন। তৃণমূল কংগ্রেসের রত্না দে নাগ ৫,৯৮,০৮৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান পান। সিপিআই(এম)-এর প্রদীপ সাহা ১,২১,৫৮৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন।
কবে ভোট?
লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় ২০ মে হুগলি লোকসভায় ভোট গ্রহণ।
২০২৪ সালের ভোটে কোন দলের কে প্রার্থী
এই আসনে আবারও বিজেপির তরফে প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসকদলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন আরেক অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সিপিএম এই আসনে দাঁড় করিয়েছে দলের রাজ্য কমিটির সদস্য মনোদীপ ঘোষকে।