Narada Sting Operationযাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) জানিয়ে দিলেন, বিজেপি (BJP) দলেই যোগ দিচ্ছেন। আগামী ৭ মার্চ সম্ভবত আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি বিজেপি-তে যোগ দেবেন বলেও জানালেন। অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিজেপি-যোগের পরেই প্রশ্ন উঠেছে, নারদ স্টিং অপারেশন (Narada Sting Operation) নিয়ে। কারণ নারদ কাণ্ডে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও মামলা চলছে। অভিযুক্তের তালিকায় শুভেন্দুও রয়েছেন। নারদ স্টিং অপারেশনকে পুরোপুরি চক্রান্ত বলে দাবি করলেন অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
নারদ কাণ্ড আসলে একটি চক্রান্ত: অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়
নারদ স্টিং অপারেশনের প্রসঙ্গ উঠতেই 'তৃণমূলের সেনাপতি', 'তালপাতার সেপাই'-র শব্দচয়ন করলেন অভিজিত্। তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি বলতে তিনি কাকে বোঝাতে চাইছেন, তিনি নাম করতে রাজি হলেন না। বললেন, ওই নামটা তাঁর কাছে স্ল্যাং বা গালিগালাজের সমান। নারদ কাণ্ডে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির কথায়, 'নারদ কাণ্ড চক্রান্ত। এটা করিয়েছে যে, তৃণমূলে সবাই তাকে তালপাতার সেপাই না সেনাপতি কী একটা বলে। অ্যালকেমিস্টকে সঙ্গে নিয়ে এই ঘটনা করেছিল। এটা চক্রান্ত। এক ভদ্রলোককে ব্যবহার করে এটা করা হয়। দলের সিনিয়রদের কেউ কেউ যখন ভোটে দাঁড়াতে চাইছিল, তখন এটা করা হয়েছিল।'
তাঁরা এখন তালপাতার সেপাইকে সেনাপতি বলে ডাকছেন
তখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তবে কি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও চক্রান্তের শিকার? অভিজিত্বাবু বলেন, 'হ্যাঁ। তাঁরা এখন তালপাতার সেপাইকে সেনাপতি বলে ডাকছেন। তালপাতার সেপাই আমার বিরুদ্ধে দাঁড়ালে দাঁড়াবেন। আমি ভয় পাই নাকি। আমি দেখিয়ে দেব তাঁর দুর্বৃত্ত দলকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়। আমি দেখিয়ে দেব। ডায়মন্ডহারবারে ওঁর দুর্বৃত্ত দল আছে। লক্ষ লক্ষ ভোটে হারাব।' এরপরেই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, 'তালপাতার সেপাই' বলতে কার কথা বলছেন?' অভিজিৎ বলেন, 'ওঁর নাম নেব না। আমি এখানে কোনও স্ল্যাং(খারাপ শব্দ) বলতে আসিনি। ওঁর নাম আমি স্ল্যাং বলে মনে করি।'
সন্দেশখালির নির্যাতিত মহিলারা বেরিয়ে এসেছেন ঝাঁটা এবং লাঠি নিয়ে
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বললেন, 'এই মুহূর্তে রাজ্যের রাজনীতিতে তৃণমূল বলে যে দলটি আছে তা একটি দুষ্কৃতীদের দল। এটি একটি যাত্রা পার্টি। আমি পলিটিক্যাল পার্টি বলে তৃণমূলকে মনেই করি না। সন্দেশখালির নির্যাতিত মহিলারা বেরিয়ে এসেছেন ঝাঁটা এবং লাঠি নিয়ে। অন্য জেলাতেও যেন এই প্রতিবাদ হয় এবং দুষ্কৃতীদের যাতে দমন করে রাখা যায়।'