তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ ও চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দিশম পার্টির সমর্থনে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। এই দুই দল কেন্দ্রীয় সরকারে বেশ কয়েকটি বড় পদ পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। এছাড়াও এখন জানা যাচ্ছে, সমর্থন দেওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্তও দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে অগ্নিবীর প্রকল্প, ওয়ান নেশন-ওয়ান ইলেকশন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রসঙ্গ। অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছে জেডিইউ। তারা নতুন সরকার গঠন হওয়ার পরে এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করার দাবি জানিয়েছে।
এনডিএ-র মিত্র জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) একটি বড় বিবৃতি দিয়েছে। তারা উপরে উল্লিখিত এই বিষয়গুলিতে তাদের অবস্থান বা বিরোধিতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছে। ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) নিয়ে জেডিইউ-র অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হয়নি বলেই জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র কেসি ত্যাগী। ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে রাজ্যগুলির মতামত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, 'আমরা তখনও বলেছিলাম যে সমস্ত রাজ্যকে একত্রিত করা এবং এই বিষয়ে তাদের মতামত বোঝা দরকার। এক দেশ-এক নির্বাচনের সমর্থন আমরা করছি। নীতীশ কুমার আইন কমিশনের চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি লিখে বলেছিলেন যে আমরা এর বিরুদ্ধে নই। তবে এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার প্রয়োজন।'
অগ্নিবীর প্রকল্পের পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন আছে
অগ্নিবীর প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে কেসি ত্যাগী বলেন, 'অগ্নিবীর প্রকল্পের অনেক বিরোধিতা ছিল এবং এর প্রভাব নির্বাচনেও দেখা গেছে। এটা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজন আছে। অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। সেনাবাহিনীতে নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছিল। একটি বড় অংশের মধ্যে এনিয়ে অসন্তোষ ছিল। আমি বিশ্বাস করি, তাদের পরিবারের সদস্যরাও নির্বাচনে এর বিরোধিতা করে চলেছেন, তাই আজ নতুন করে আলোচনার প্রয়োজন আছে।'
কেসি ত্যাগী বলেন, 'আমরা এনডিএর শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছি। এনডিএ সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব আমরা সামলেছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছি, বিহার থেকে অভিবাসন বন্ধ করতে হলে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে। তবে, কাকে কোন মন্ত্রিত্ব দেবেন সেটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। আমাদের এমন কোনও দাবি নেই।'