TMC Worker Killed in Ketugram: কেতুগ্রামে নৃশংসতা, TMC কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমা, তারপর কুপিয়ে খুন

লোকসভা নির্বাচনে রক্ত ঝরল বাংলায়। ভোটের আগের রাতে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। খুনের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বামেরা। 

Advertisement
কেতুগ্রামে নৃশংসতা, TMC কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমা, তারপর কুপিয়ে খুন
হাইলাইটস
  • লোকসভা নির্বাচনে রক্ত ঝরল বাংলায়।
  • ভোটের আগের রাতে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল।
  • ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে।

লোকসভা নির্বাচনে রক্ত ঝরল বাংলায়। ভোটের আগের রাতে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। খুনের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বামেরা। 

অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়। তারপরে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম মিন্টু শেখ (৫০)। 

পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে বাড়ি ফেরার পথে খুনের ঘটনা ঘটে। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমার ঘায়ে জখম হন  মিন্টু। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। 
 
এইব ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। কেতুগ্রাম এলাকা বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সোমবার সেখানে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটের আবহে খুনের ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। এক্স হ্যান্ডলে বাংলার শাসকদলের তরফে এই নিয়ে সিপিএমকে নিশানা করা হয়েছে। অবিলম্বে পদক্ষেপের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছে জোড়াফুল শিবির। অন্য দিকে, নিহতের স্ত্রীর দাবি, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই খুন। নিজেদের বাঁচাতে সিপিএমের নামে দোষ দিচ্ছে।  

বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ সোমবার সকালে পাপুরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩৬ নম্বর বুথে ভোট দেন। ভোটদানের পর এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী এখন বিজেপির ছত্রছায়ায় এসে খুন, রাহাজানি করছে। তবে সাধারণ মানুষের কাছে আমি আবেদন করব যাতে তাঁরা তাঁদের মতামত ভোটবাক্সে দেন।' তিনি আরও বলেন, 'অন্যান্য নির্বাচনে ভোটারদের একটা অভিযোগ ছিল যে, তাঁরা ভোট দিতে পারতেন না। কিন্তু এ বছর রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে সকলে যাতে ভোট দিতে পারেন, ভোটকেন্দ্র অবধি পৌঁছতে পারেন, আমরা তা নিশ্চিত করেছি। এখনও পর্যন্ত জেলায় কোনও অশান্তির খবর নেই, সম্ভাবনাও নেই।'

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। 

POST A COMMENT
Advertisement