সৌজন্য নাকি রাজনৈতিক চাপানউতোর? চণ্ডীতলা কেন্দ্র নিয়ে ট্যুইট দেব-যশ-বনিদের

পশ্চিমবাংলায় নির্বাচনী (Bengal Election 2021) বাতাবরণ। ঘরে - বাইরে, এমনকি নেট মাধ্যমেও সকলের একটাই আলোচনা, 'ভোট'। নির্বাচনের আগে একের পর তারকারা যোগ দিয়েছেন সক্রিয় রাজনীতিতে। কার দলে কত বেশি গ্ল্যামার, তা হয়ে উঠেছে এইবারের রাজ্য নির্বাচনের মূলমন্ত্র। আর তাতেই দু'ভাগ হয়েছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। 

Advertisement
সৌজন্য নাকি রাজনৈতিক চাপানউতোরে ট্যুইট তিন টলি সুপারস্টারের? দেব, বনি ও যশ ( ছবি সৌজন্য: ইন্সটাগ্রাম)
হাইলাইটস
  • এখন ঘরে - বাইরে, এমনকি নেট মাধ্যমেও সকলের একটাই আলোচনা, 'ভোট'।
  • নির্বাচনের আগে একের পর তারকারা যোগ দিয়েছেন সক্রিয় রাজনীতিতে।
  • আর তাতেই দু'ভাগ হয়েছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। 

পশ্চিমবাংলায় নির্বাচনী (Bengal Election 2021) বাতাবরণ। ঘরে - বাইরে, এমনকি নেট মাধ্যমেও সকলের একটাই আলোচনা, 'ভোট'। নির্বাচনের আগে একের পর তারকারা যোগ দিয়েছেন সক্রিয় রাজনীতিতে। গেরুয়া ও জোড়া ফুল শিবিরে যেন কার্যত দড়ি টানাটানি চলেছে টলি পাড়ার তারকাদের নিয়ে। কার দলে কত বেশি গ্ল্যামার, তা হয়ে উঠেছে এইবারের রাজ্য নির্বাচনের মূলমন্ত্র। আর তাতেই দু'ভাগ হয়েছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। 

যদিও তারকা প্রার্থীদের প্রশ্ন করলে, তাঁদের দাবী 'রাজনীতি এবং অভিনয়' দুটো সম্পূর্ণ আলাদা দিক। সেখানে এটার আঁচ আসবে না। শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচন। তার আগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলেছে জোড় কদমে শেষ মুহূর্তের প্রচার। এবার তিন টলি নায়করা আলোচনা করলেন চণ্ডীতলা কেন্দ্র নিয়ে। সৌজন্যের রাজনীতি, নাকি সরাসরি না বলে ঘুরিয়ে প্রভাব দেখানো? 

চণ্ডীতলা কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র প্রার্থী অভিনেতা যশ দাসগুপ্ত (Yash Dasgupta)। এদিকে বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta) প্রার্থী না হলেও বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। দলের হয়ে ক্যাম্পেইনও করছেন অভিনেতা। এদিকে দেবও (Dev) তাঁর তৃণমূল কংগ্রেস দলের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। চণ্ডীতলা কেন্দ্রে নিজের প্রচারের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন দেব। আর সেখানেই যশ রিট্যুইট করে লিখেছেন, "চণ্ডীতলায় তোমায় স্বাগত ভাই। তোমার অঙ্গভঙ্গী ভাল লাগলো। এখানের মানুষদের আতিথেয়তা ও ভালবাসা অনেক। লাঞ্চ বাকি রইল।" 

দেব আবার পাল্টা উত্তর দিয়েছেন, " জানি জানি গত ৭ বছর ধরে আমি এখানে ক্যাম্পেইন করছি। নির্বাচনের পর লাঞ্চ একদম পাকা। নির্বাচনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা। তোমার কঠোর পরিশ্রম দেখতে পাচ্ছি। "

এদিকে আবার বনি সেনগুপ্ত আবার ট্যুইট করেছেন, "আগে জানলে একসাথে লাঞ্চ করেই বেরোতাম...।" তাতে দেবের পাল্টা জবাব "কোথায় তোদের মতো এত ফাঁকা সময়ে? শেষ কবে আরাম করে লাঞ্চ করেছিলাম ভুলে গেছি।" 

বলা চলে এক কথায় নিজের ব্যস্ততা ও গুরুত্ব যে বেশী তা বুঝিয়ে দিলেন দেব। ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়ার তিনি, আর বাকিরা এভাবে বলবেন তা আবার হয়? যদিও শেষ পর্যন্ত কাদের প্রচার সার্থক হবে, তা বলবে ২ মে-র ফলাফল। কিন্তু রেজাল্ট যাই হোক না কেন, টলিপাড়ার মধ্যকার এই ভেদাভেদ কতটা মিটবে তা বলবে সময়।    

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement