কাঁটাতারের ওপারে থাকায় হাজারো সমস্যা। অনেক কিছুই না পাওয়ার তালিকায় তাঁদের। মাঝে মধ্যে তা নিয়ে গোলমালও হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁঁরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সাংসদ, বিধায়ক নির্বাচনে ভূমিকা রাখেন। এবারও ভোট দেবেন হিলি সীমান্তে থাকা হাজার খানেক পরিবার।
হিলি সীমান্তের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত এলাকার কাঁটাতারের ওপারে ১১ টি গ্রাম রয়েছে। যেগুলি ভারতের ভূখণ্ডের অন্তর্গত উঁচা গোবিন্দপুর, দক্ষিণ জামালপুর শ্রীকৃষ্ণপুর, হাঁড়িপুকুর, উজান সহ অন্য গ্রামগুলি রয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িপুকুর গ্রামটি বাংলাদেশের নওয়াপাড়া নামে একটি গ্রামের সঙ্গে একেবারেই গায়ে লাগানো অবস্থায় রয়েছে এই গ্রামে প্রায় ১১০ টি পরিবার এবং পাঁচশোর বেশি বাসিন্দা রয়েছেন। এই গ্রামের অনেক বাসিন্দারই আবার বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।
সব মিলিয়ে ১১ টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দাকে কাঁটাতার পার হয়ে বিভিন্ন কাজে মূল ভূখণ্ডে আসতে হয়।
অন্যান্য গ্রামগুলিতে নির্বাচনের বুথ অবশ্য নিজেদের এলাকার মধ্যেই পড়লেও শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রাম ছোট হওয়ায় তাদের নিজ এলাকায় কোনও বুথ নেই। ভোট দিতে আসতে হবে কাঁটাতার পার হয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ডের মধ্যে। তাতে অবশ্য আপত্তি খুব একটা নেই। প্রতিদিনই বিভিন্ন কাজে এভাবেই যাতায়াত করতে হয়। ভোটের বেলা ব্যতিক্রম হবে এমন টা আশা করেন না তাঁরা।
তবে করোনা পরিস্থিতি আবির্ভূত হওয়ায় সেখানে অবশ্য করোনা পরীক্ষা শিবির করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁদের সীমারেখা না থাকায় করোনা পরীক্ষা করানো অত্যাবশ্য়কীয় হয়ে পড়ে। সেটুকুতেই তাঁরা ঘরের কাছেস পরিষেবা পেয়ে খুশি।
তবে নির্বাচনে আজ পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি। ছোটোখাটো গোলমালও নয়। সব দলের তরফেই সীমিত প্রচার হয়েছে। তবে তাঁরা পছন্দমতো ভোট দেন। তবে আলাদা করে দল করেননা। দল করলে গোলমাল হবে। তাই মিলেমিশে থাকার উদ্দেশ্যে শুধুই ভোট দেন।