ভোট-পরবর্তী হিংসায় আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। মূলত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে আইএসএফ-তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙড়ের বারজুলি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় আহত উভয়পক্ষের মোট ৩ জন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় থানায় উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।
করোনা আবহে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রচার ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরেই সরব বিভিন্ন মহল। এমনকী এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন বিভিন্ন নেতা নেত্রীরও। হস্তক্ষেপ করেছে আদালতও। তারপরেই নির্বাচনের প্রচার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
পরেশ পাল। বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম এক আলোচিত নাম। হাইপ্রফাইল না হলেও তাঁকে নিয়ে আলোচনার থেকে বিতর্কই বেশি হয়। এমনকি সহকর্মীরে সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও সেটাও বাদ নেই। তবে বেলেঘাটা এলাকা বলতেই এখনও একমেবদ্বীতিয়ম তিনি। গত দু'বারের বিধায়ক। এবারও তার ওপর ভরসা রেখেছেন তৃণমূলনেত্রী। ২০২১-এ বিধানসভায় জিতে হ্যাটট্রিক করবেন পরেশ রাজনৈতিক পরিসংখ্যান কিন্তু তেমনটাই বলছে। গত লোকসভা ভোটেও বেলেঘাটা এলাকা থেকে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। তবে একুশে বিজেপির সোনার বাংলার স্বপ্নে বেলেঘাটাতে ঘাসফুলের ওপর পদ্ম ভারী পড়বে নাতো সেই আশঙ্কা কিন্তু একাবেরই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
রাজ্যে ৬ দফা ভোট শেষ। বাকি আরও দুই দফা। ভোটের পাশাপাশি রাজ্যে ও দেশে বাড়ছে করোনা। আর সেই নিয়েই এবার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে নয়া নোটিশ দিয়েছে ইলেকশন কমিশন। আর তার আগেই বিজেপির সভায় বিভিন্ন কোভিড বিধি মানা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়ে দিয়েছিলেন সায়ন্তন বসু। দেখুন।
ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে বেশ আশান্ত পরিবেশ দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। বিশেষ করে ব্যারাকপুর সহ উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কিছু জায়গায় হয়েছে অশান্তি। কিন্তু কেন এমন অশান্ত পরিবেশ রাজ্যে। বিশ্লেষণে বিশিষ্ট সাংবাদিক জয়ন্ত ঘোষাল। দেখুন।
বাংলার সমস্ত নির্বাচনী সভা বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ট্যুইট করলেন একথা জানালেন তিনি নিজেই। মুখ্যমন্ত্রী জানান, করোনা পরিস্থিতির জেরে নির্বাচন কমিশন একটি অর্ডার দিয়েছেন। আমি সমস্ব সভা বাতিল করছি। ভার্চুয়ালে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব। অন্যদিকে এদিন করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাজ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের ব়্যালি ও মিছিল নিষিদ্ধ করে কমিশন।
ষষ্ঠ দফার নির্বাচন মিটেছে, তবে বাংলায় ভোট উত্তাপ কিন্তু কমেনি। দৈনিক করোনা সংক্রমণ যখন প্রতিদিন নতুন রেকর্ড গড়ছে তখন রাজনৈতিক নেতাদের নিত্যনতুন মন্তব্য বাংলার ভোটযুদ্ধকে নতুন রসদ দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার অধীর গড় মুর্শিদাবাদে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রান্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকী।
রাজ্যে ভোটহিংসা অব্যাহত। এবার গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনা বাগদার। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গুলিতে জখম হয়েছেন একাধিকজন । তাঁদের মধ্যে ২ জন বিজেপি কর্মী। ঘটনায় উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। মোতায়েন রয়েছে পুলিশবাহিনী।
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাজ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের ব়্যালি ও মিছিল নিষিদ্ধ করল কমিশন। করা যাবে না কোনও রোড শো কিংবা পদযাত্রাও। সাইকেল ও বাইক ব়্যালিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাজনৈতিক সভা ৫০০ জনের বেশি কাউকে নিয়ে করা যাবে না। সেই সভাতে সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে
যে হারে রাজ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে শেষ দুই দফা এক বারে করা যায় কিনা তা আরও একবার খতিয়ে দেখতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। আর সেই কারণেই শুক্রবার বিকেলে ফের একবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
কাঁচরাপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত লিচু বাগান এলাকায় সকাল থেকেই নির্বাচন উপলক্ষে উত্তপ্ত ছিল পরিস্থিতি।হঠাৎই দুপুর নাগাদ অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদেরকে মারধর করে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বীজপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়। সেই সময় উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা ভাঙচুর করে তৃণমূলের একটি কার্যালয় এবং ক্যাম্প অফিসে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বীজপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।