দুদিনের রাজ্য সফরে বঙ্গে এসেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিন একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। সেইসঙ্গে তৃণমূলকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন নাড্ডা। একনজরে জানুন আজকের নাড্ডার সফরের কথা। (সমস্ত ছবি জেপি নাড্ডার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে)
জেপি নাড্ডা বলেন, বিজেপির সঙ্গে বাংলার এক গভীর যোগ রয়েছে। আমার সৌভাগ্য আমি বাংলাতে আসতে পেরেছি। এই মাটিতে ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দ ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আমরা বাংলার ঐতিহ্যকে সবসময় এগিয়ে রাখার বিষয়ে কাজ করে যাব। বাংলা ও দেশের জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আত্মত্যাগ করেছেন। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই স্বপ্নকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তৃণমূলকে একহাত নিয়ে নাড্ডা বলেন, অসহিষ্ণুতার অপর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রশাসন ও পুলিশের রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে। আগামী বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আর থাকবে না। বিজেপি ২০০-র বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতা দখল করবে।
মমতা বন্দ্যোবাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল জেপি নাড্ডার। সেখানে বেশ কিছু পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
মণীশ শুক্লা হত্যা নিয়ে নাড্ডার দাবি, মণীশ শুক্লাকে আধুনিক অস্ত্র দিয়ে থানার সামনে হত্যা করা হয়েছিল। কোনও গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ রাজ্য সরকারের পুতুল হয়ে গিয়েছে। আমি তাদের বলছি, তৃণমূল কিন্তু চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে না।
কালীঘাটের মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন তিনি। এর আগেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দেখা গিয়েছিল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে।
এদিনে কর্মীমৃত্যু প্রসঙ্গে নাড্ডা বলেন, বাংলায় আজকেও বিজেপির এক কর্মী মারা গিয়েছেন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৩০ জন বিজেপি কর্মী মারা গিয়েছেন। সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করার জন্য বিজেপি কর্মীদের অনেক ধন্যবাদ।
জেপি নাড্ডা বলেন, অম্বিকেশ মহাপাত্র একটা কার্টুন এঁকেছিলেন বলে তাঁকে ধরে নিয়ে এসেছিল পুলিশ। আরামবাগ টিভির এডিটর সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, কারণ তিনি তৃণমূলের দুর্নীতি সবার সামনে এনেছিলেন।