দীর্ঘ দেড় মাস চিকিৎসার পর রাজ্যের মন্ত্রী ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জাকির হোসেন রবিবার দুপুরে বাড়ি ফিরলেন।
গত ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি রাতে নিমতিতা স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জখম হন জাকির। অত্যন্ত গুরুতর আহত জাকির'কে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। গত দেড় মাস ধরে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন জাকির হোসেন। কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি জঙ্গিপুরের বাড়িতে ফিরলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন জাকির হোসেনকে। নিমতিতা স্টেশনে আইডি বিস্ফোরণ কান্ডে জখম জাকির হোসেনের ওপর পুনরায় ভরসা রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বাড়ি ফিরেই সেই মর্যাদার মূল্য দিতে জাকির জানিয়েছেন আগামী ৬ এপ্রিল জঙ্গিপুর বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন তিনি, যাবেন জঙ্গিপুর এসডিও অফিসে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জাকির বলেন, 'নিজের এলাকায় ফিরে নতুন জীবন পেলাম খুব ভালো লাগছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমার জন্য যা করেছেন তার জন্য আমি চির কৃতজ্ঞ।' ববি হাকিম ও দলের কাছে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং এসএসকেএমের চিকিৎসকদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
এদিকে জাকির হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন দলের কর্মী ও জাকির হোসেনের অনুগামীরা এলাকায় প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিপুর বিধানসভা এলাকায় আমার অনুপস্থিতিতে আমার নেতা-কর্মীরা যেভাবে কাজ করেছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
নিমতিতা বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের কড়া শান্তি দাবি করেছেন জাকির। পাশাপাশি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের কাছে ক্ষমাও প্রার্থনা করেছেন। তাঁর কথায়, 'আমি পাঁচ বছর মানুষের সেবা করেছি, দু'মাস সেবা করতে পারিনি। আমি সুস্থ হলেই আশা করছি মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবো।পাঁচ বছরের প্রতিটি মানুষের কাছে আমি সম্মান দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি আগামী দিনেও মানুষ আমাকে সুযোগ দিলে সেই আশ্বাস এর সাথে কাজ করার আশা রাখছি।'
এদিকে নিমতিতা স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণের মামলা ইতিমধ্যেই সিআইডির থেকে এনআইএর হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে নিমতিতা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে জাল গোটাচ্ছে এনআইএ । এই ঘটনায় সুতির তৃণমূল প্রার্থী ইমানি বিশ্বাসকে নোটিস দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। যদিও এর আগে তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরেও একবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনআইএ। এবারের নোটিসটি সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়।