সিপিএমের হেভিওয়েট প্রার্থী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে হারিয়ে লোকসভায় প্রথম প্রবেশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকে ২০২১ সাল এই দীর্ঘ ৩৭ বছরে তৃণমূলনেত্রীকে একই ভাবে দেখা গিয়েছে। তাঁর সাজের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
পরনে সুতির শাড়ি, পায়ে চপ্পল এই ভাবেই জননেত্রীকে দেখে এসেছে আম জনতা। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেও সেই সাজের কোনও পরিবর্তন হয়নি তৃণমূলনেত্রীর।
একবার রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলনা টেনেছিলেন পোশাক নিয়ে। বলেছিলেন পরনে আড়াশো টাকার শাড়ি, পায়ে চপ্পল, একেই বলে জননেত্রী।
৭ বারের সাংসদ ছিলেন মমতা বন্দ্যএাপাধ্যায়। এর মধ্যে তিনবার মন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও দুবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। তাঁর কোনও পরিবর্তন হয়নি।
পায়ে হাওয়াই চটি, পরনে সাদা খোলের সরু পাড়ের শাড়ি—এটাই ট্রেডমার্ক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জনগনকের কাছে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ এই বার্তা পৌঁছে দিতে সাধারণ সুতির শাড়িকেই বেছে নেন ‘দিদি’।
সাদা রঙের একরঙা পাড়যুক্ত তাঁতের শাড়ি পরতে পছন্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ধনেখালির তাঁত ছাড়া কিছু গায়ে তোলেন না তিনি।
একুশের নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে দাঁড়িয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তৃণমূলনেত্রী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিঃসন্দেহে মমতার এই ঘোষণা গেরুয়া শিবিরকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।
১৪ বছর আগে নন্দীগ্রামের আন্দোলন তাঁর রাজনৈতির জীবনের মোর ঘুড়িয়ে দিয়েছিল। সেখানে দাঁড়িয়েই এবার ২০২১-এ গেরুয়া ঝড় আটকাতে নতুন যুদ্ধের ঘোষণা করলেন মমতা। তখনো বিরোধী নেত্রী হিসাবে তাঁর পরনে ছিল সুতির শাড়ি। আজ ১০ বছর মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেও সেই সুতির শাড়িতেই নন্দীগ্রামে তৃণমূলের নতুন জন্মের ঘোষণা মমতার।