২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে বামেদের পরাজয়। তারপরও রীতিমতো সক্রিয় ছিলেন। সিপিআইএম-এর কর্মসূচিতে অংশ নিতেন।তবে ২০১৪ সালে লোকসভা, ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে বামেদের খারাপ ফলাফলের পর যেন ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।
তাঁর কাকা বিশিষ্ট কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। যাঁর লেখায় মানুষের জীবনের যন্ত্রনার কথা ফিরে এসেছে বারে বারে।
তিনি রাজ্যে শিল্প গড়তে চেয়েছিলেন। সিঙ্গুরে জোর করে জমি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে প্রতিবাদ শুরু করে তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল।
অন্তরালে চলে গেলেও সাহিত্যচর্চা থেকে নিজেকে দূরে রাখেননি। তবে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হওয়ায় সে কাজে অসুবিধা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর লেখা দু'টি বই প্রবল জনপ্রিয় হয়েছে, 'নাৎসি জার্মানির জন্ম ও মৃত্যু' এবং 'স্বর্গে নীচে মহাবিশৃঙ্খলা'।
এবার ব্রিগেডে সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকেরা প্রবল ভাবে চেয়েছিলেন তিনি উপস্থিত থাকুন। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি সেখানে যেতে পারেননি। ব্রিগেডের সাফল্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
তাঁর দল সিপিআইএম ব্যুক্তিপুজো না-করলেও এ কথা অনস্বীকার্য তিনিই দলের এক নম্বর ক্রাউড পুলার। এখনও তাঁর কথা শোনার জন্য সবাই মুখিয়ে আছেন।
নন্দীগ্রামেও শিল্প গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বলা হয়, তৃণমূলকে যে যে বিষয়গুলো ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছিল, তার অন্যতম নন্দীগ্রাম। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন বলে জানিয়েছেন।