৩৫৫ বুথে নির্বাচন, ৩৫৫ বুথই স্পর্শকাতর। সকাল ৯টার পর থেকে নন্দীগ্রামের প্রান্তিক অঞ্চলে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি। ১টি বুথ থাকলে ৮জন নিরাপত্তারক্ষী। ২টি বুথ থাকলে ১৬জন পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষী। নন্দীগ্রামের বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
কিন্তু বেলা যতই বাড়তে থেকেছে ততই অশান্ত পরিবেশ দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রামে বাড়ি থেকে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বাখুয়াবাড় গ্রামের ২৮ নং বুথে।এবাকায় উত্তেজনা। তৃণমূল হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ।
দ্বিতীয় দফার ভোটে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন রয়েছেন ২১ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী, ৬ হাজার রাজ্য পুলিশ। তিটি বুথে থাকবেন ৮জন নিরাপত্তারক্ষী। ২টি বুথ থাকলে ১৬জন পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষী।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে রাজ্যে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭৬ লক্ষ। মোট পোলিং বুথের সংখ্যা ১০,৬২০। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের জন্য পূর্ব মেদিনীপুরে ১৯৯ কোম্পানী, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১০ কোম্পানী, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৭০ কোম্পানী এবং বাঁকুড়ায় ৭২ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সব কেন্দ্রেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কমিশন। বিশেষ করে নন্দীগ্রামের সব বুথই স্পর্শকাতর হওয়ায় সেখানে নিরপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
নন্দীগ্রামের বয়ালে তৃণমূলের পোলিং এজেন্টদের হুমকির অভিযোগ। আর সেই হুমকির জেরে বয়ালে একটি বুথে পোলিং এজেন্টই পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। পরে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা এলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল নেতারা।
সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের একাধিক বুথে তাদের এজেন্টরা বসতে পারছেন না বলে অভিযোগ ছিল তৃণমূ কংগ্রেসের। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগো উঠছিল। সোনাচূড়া, বয়ালের মতো জায়গাগুলি থেকে আসছিল সবচেয়ে বেশি অভিযোগ। যার জেরে বেলা বাড়তে খোদ ময়দানে নামলেন খোদ তৃণমূলনেত্রী।
বয়ালের মতো জায়গাগুলি থেকে আসছিল সবচেয়ে বেশি অভিযোগ। যার জেরে বেলা বাড়তে খোদ ময়দানে নামলেন খোদ তৃণমূলনেত্রী। রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা হাজির হন বয়াল প্রাথমিক স্কুলের বুথে। সেখানে তাঁকে দেখেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে ৬৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে ভোট দিতে না পারা নিয়ে।
তৃণমূল বিজেপি-র বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছ বয়ালের ১৩, ১৪, ১৮, ১৯, ২০ বুথে। তা দেখতেই ময়দানে নামেন সরাসরি তৃণমূলনেত্রী।
এদিকে বয়ালের নম্বর বুথে মমতা হাজির হতেই বিজেপি কর্মীরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করে। যাকে ঘিরে মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।