বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম প্রধান চিরত্র ও নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মুখ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ার পেছনে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই শোনা যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন রয়েছেন ততদিন তাঁর বিকল্প তৃণমূল কংগ্রেসে নেই তা জানেন প্রত্যেকেই। কিন্তু মমতা পরবর্তী সময় কে হবে সর্বেসর্বা তা নিয়েই নাকি দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল দুই তরফের। বর্তমানে তৃণমূলনেত্রীর পরের ঘোষিত স্থানে রয়েছেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেককে তৃণমূলের যুব সভাপতি করার পরেই শুভেন্দুর সঙ্গে ধীরে ধীরে দূরত্ব বেড়েছিল দলীয় নেতৃত্বের। অঘোষিত লড়াইয়ে শুভেন্দু কিন্তু নিজের সংগঠনের জোড়ে কর্মীদের মন জয় করে নিতে অনেকটাই সফল ছিলেন। এখন তৃণমূল থেকে বেরিয়ে নিজের আলাদা পরিচয় তৈরিতে ব্যস্ত শুভেন্দু। যার জন্য প্রায় তিরিশ বছরের রাজনৈতিক কেরিয়ারকেও বাজি লাগিয়েছেন তিনি। সম্মুখ সমরে লড়ছেন খোদ এতদিনের দলনেত্রীর সঙ্গে। নন্দীগ্রামের মত জঙ্গলমহলকে নিজের কবজায় রাখার চ্যালেঞ্জ রয়েছে শুভেন্দুর কাছে। ঠিক একই ভাবে লড়াইয়ের ময়দানে তৃণমূলের যুবরাজও। উনিশের ভোটে অভিষেক পর্যবেক্ষক থাকাকালীনই জঙ্গলমহলে খারাপ ফল করে তৃণমূল। যার জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কসুর করেননি অভিষেকের ডানা ছাঁটতে। তার জায়গায় পুরনো সৈনিক শুভেন্দুর হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জঙ্গলমহলের দায়িত্ব। মানে কার্যত শুভেন্দুর কাছে সেবার পরাজয় মানতে হয়েছিল অভিষেককে। এবার জঙ্গলমহলের বিধানসভা ভোট তাই অভিষেকের কাছেও অগ্নিপরীক্ষা। পরীক্ষা শুভেন্দু পরবর্তী যুগে জঙ্গলমহলকে পুনরুদ্ধারের। পরীক্ষা তৃণমূলনেত্রীর কাছে সফল সংগঠক হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করার। তাই বঙ্গ রাজনীতিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোট শুভেন্দুর মতোই সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অভিষেকের রাজনৈতিক কেরিয়ারের দিক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে।
উনিশের ভোটে পর্যবেক্ষক ছিলেন অভিষেক
২০১৬ সালে জঙ্গলমহলে চমকপ্রদ ফল করেছিল তৃণমূল। উনিশের ভোটে সেই ট্রেন্ডের খুব একটা হেরফের হবে না এমনটাই বিশ্বাস ছিল ঘাসফুল শিবিরের। লোকসভা ভোটের আগে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া মূলত জঙ্গলমহলের এই দুটি জেলার পর্যবেক্ষক করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এছাড়াও দুই মেদিনীপুরও তিনি দেখতেন। লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ার দুটি কেন্দ্রেই হেরে যায় তৃণমূল। বাঁকুড়া আসনে পরাজিত হন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। আর বিষ্ণুপুরে তো প্রচারে ঢুকতে না পেরেও জিতে যান বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। মেদিনীপুরেও জয়ী হন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দুই জেলাতেই তৃণমূলের এই ভরাডুবি দেখে ভীষন রুষ্ট হন দলনেত্রী। সেবার ভোটের ফল দেখেই অভিষেকের ডানাও ছেঁটেছিলেন মমতা। তাঁক পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার বদলে মমতা জানিয়ে দেন অভিষেক ভোটার লিস্ট ও অন্যান্য কো-অর্ডিনেশনের কাজ করবে। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে ঝাড়গ্রাম জেলার দায়িত্ব মমতা দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর। খারাপ ফলের পর ঝাড়গ্রাম-সহ গোটা জঙ্গলমহলের দায়িত্ব একক ভাবে শুভেন্দুর উপর সঁপে দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দুর কাছে হাতের তালুর মতো চেনা জঙ্গলমহল
নন্দীগ্রামে সাফল্যের পর মমতা শুভেন্দুকে জঙ্গলমহলের পরিদর্শকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া- জঙ্গলমহলের এই তিন জেলায় তাঁর তত্ত্বাবধানেই মূলত সংগঠন মজবুত করে তৃণমূল। শুধু নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরই নয়, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামেও শুভেন্দুর দাপট চোখে পড়ার মতো। মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে এক সময়ে তৃণমূলের সংগঠন তৈরির দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু আদিবাসী, জনাজাতিদের রাজনৈতিক মূলস্রোতে আনতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। জঙ্গলমহলের মাওবাদী সমস্যাও তাতে কমেছিল। সেই কারণে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ, পি চিদম্বরমের প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন তিনি। তবে গত লোকসভা ভোট তাঁকে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে সেভাবে প্রচারে পাওয়া যায়নি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উনিশের ভোট ভরাডুবর পর ফের একবার জঙ্গলমহলে সক্রিয় হয়েছিলেন শুভেন্দু। রাজ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ভোট রয়েছে পূর্ মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার ৫ জেলায় ৫৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে। শুভেন্দু দলবদল করলেও এই জেলাগুলিতে তাঁর প্রভাব এখনও বড় ফ্যাক্টর তৃণমূলের কাছে। ২০১৫-র জুনে মমতা শুভেন্দুকে দায়িত্ব দেন রাজ্য কংগ্রেসের শেষ ঘাঁটি মুর্শিদাবাদ ও মালদা ছিনিয়ে আনতে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর চোখের সামনে দিয়েই মুর্শিদাবাদের একের পর এক পুরসভা, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে থাকে তৃণমূল। একইভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে মালদায় গনি খান পরিবারের বহু বছরের রাজনৈতিক দুর্গ। বোঝাই যাচ্ছে শুভেন্দুর সাংগঠনিক দক্ষতা প্রশ্নাতীত। তারসঙ্গে এবার যোগ হয়েছে গেরুয়া শিবিরের প্রভাব। এই দুই মিলিত শক্তি তৃণমূলের জঙ্গলমহল পুনঃদখলের পক্ষে প্রধান অন্তরায় তা বলাই বাহুল্য।
জঙ্গলমহল কি হাসবে এবার?
রাজ্যে বহুদিন মমতা সরকারের সাফল্যের অন্যতম বিজ্ঞাপন ছিল ‘জঙ্গলমহল হাসছে’। বাম জমানায় মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় তৃণমূল আমলে শান্তি ফিরেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। জঙ্গলমহলে শআন্তি ফেরানো তাঁর সরকারের কাছে দায়বদ্ধতা ছিল এমন কথা আগেই বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা ক্রমশ কোণঠাসা হয়েছে। জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের জন্য একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রান্তিক এলাকাতেও প্রভাব বাড়াচ্ছিল শাসক শিবির। এক সময়ে মাওবাদী বা মাওবাদী-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতেরা দ্রুত ভিড়েছেন তৃণমূলের দিকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তৃণমূল সম্পর্কে ধারণা বদলায় জঙ্গলমহলবাসীর একটা বড় অংশের। বিভিন্ন সরকারি ভাতা পাইয়ে দেওয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ থেকে শুরু করে এখন তোলাবাজি, ভয় দেখানোর রাজনীতি করায় অভিযুক্ত শাসক দলের অনেকেই। গত পঞ্চায়েত ভোট থেকেই জঙ্গলমহলের হাওয়া ঘুরতে শুরু করেছিল। বিশেষ করে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে পদ্মের উত্থান চিন্তার ভাজ ফেলেছিল তৃণমূলের অন্দরেই। আর লোকসভা ভোটে সকলকে চমকে দিয়ে তৃণমূলনেত্রীর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাঁর সাধের জঙ্গলমহল। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালোভাবেই জানেন, বিধানসভার মসনদ ধরে রাখতে আবার জঙ্গলমহলের মন পেতেই হবে তাঁকে। তাই হুউল চেয়ারে বসেই ঘুর ঘুরে জঙ্গলমহলের একের পর এক জেলায় প্রচার করে চলেছেন মমতা। জঙ্গলমহলের মানুষের জন্য তৃণমূল সরকারের অবদান মনে করানোর চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার সফট টার্গেট জঙ্গলমহল
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফট টার্গেট জঙ্গলমহল তাতে কোনও সন্দেহ নেই । ২০১৯-এ জঙ্গলমহলে ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল। হাত থেকে সব আসন বেরিয়ে গিয়েছিল। উড়ে এসে জুড়ে বসে বিজেপি দখল করেছিল জঙ্গলমহল। তারপরই তৃণমূল জঙ্গলমহলে নিজেদের কর্তৃত্ব ফিরে পেতে ছক কষছে। শুধু ছত্রধরকে তৃণমূলে পদ দিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি তৃণমূল, এখন আবার বিপুল বিনিয়োগ করে জঙ্গলমহলকে কাছে টানতে চাইছে। জঙ্গলমহলকে নিয়ে নানাভা্বে ঘূঁটি সাজিয়ে ময়দানে নেমেছেন তৃণমূলনেত্রী। বিজেপির বাড়বাড়ন্ত কমিয়ে ফের জঙ্গলমহলকে নিজের দিকে মূল টার্গেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই তিনি আদিবাসীদের জন্য নানা প্রকল্প এনেছেন। সামাজিক জনমুখী নানা প্রকল্পের মাধ্যমে জঙ্গলমহলের মন টানাই লক্ষ্য তাঁর। শুভেন্দু দলছাড়ার পর পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের অস্তিত্ব প্রমাণ করা যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ তেমনি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকার মানুষের পুনরায় আস্থা অর্জনও তৃণমূলনেত্রীর পাখির চোখ। তাই গত কয়েকদিন হুইল চেয়ার নিয়েই গোট জঙ্গলমহল চষে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘাঁটি গেড়েছেন জঙ্গলমহলে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাকে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেকের নিজের গড় বলা হয়। তবে সেই গড় থেকে আপাতত তৃণমূলের দ্বিতীয় হাইকমান্ডের নজরে জঙ্গলমহল। কোথাও যেন এই এলাকা দখলে সেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই অলিখিত লড়াই অভিষেকের।
জঙ্গলমহলের বর্তমান চিত্র
২০১৬ তে ঘসফুলের জয়জয়কার দেখেছে জঙ্গলমহল। সেই চিত্র পাল্টে গিয়েছে উনিশের লোকসভা ভোটে। বিধানসভাওয়াড়ি ফলের নিরিখে জঙ্গলমহলের চার জেলা অর্থাৎ ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার মোট ৪০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৩০টিতে এগিয়ে বিজেপি, ১০টিতে তৃণমূল। বাংলা জয়ে আদিবাসী ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা জানে গেরুয়া শিবির। তাই প্রধানমন্ত্রী থেকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবাই এখন ভোট প্রচারে ভিড় করছেন জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হোল, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে সংখ্যালঘু ভোট কম। কোথাও ৯ শতাংশ, কোথাও বা ৫ শতাংশ। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে লোকসভা ভোটের আগে থেকেই বিজেপি এই অঞ্চলে সংখ্যাগুরু ভোটের মেরুকরণের চেষ্টা করেছে। তা উনিশের ভোটে অনেকটাই ফল দিয়েছে। এবার বিজেপির কৌশলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শুভেন্দুর সাংগঠনিক দক্ষতা। শুভেন্দু জনভিত্তিকেই ভরসা করে তাই এবার জঙ্গলমহল উনিশের মতো একুশের যুদ্ধেও নিজেদের দখলে রাখার স্বপ্ন দেখছে গেরুয়া শিবির।
অভিষেকের পরীক্ষা
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত কর্তৃত্বের উপরই মোটামুটি শিলমোহর থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । তাঁর সবুজ সংকেতেই তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হয়ে উঠছিলেন অভিষেক। তৃণমূল সূত্রের খবর, অভিষেকের উপর দলের একটা অংশ চরম ক্ষুব্ধ। গত লোকসভা ভোটের ফলাফলেও তার প্রভাব পড়েছে বলে দলের অনেকেই মনে করছেন। অভিষেকের বাড়বাড়ন্ত দেখেই দল ছেড়েছিলেন মুকুল। দল ছেড়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ’ও। আর তাতেই লোকসভা ভোটে লাভবান হয়েছিল রাজ্য বিজেপি। এবার বিধানসভা ভোটের আগে ভাইপো ইস্যুকে সামনে এনেছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী-রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা দল ছেড়ে নিশানা করেছেন ভাইপোকে। এই অবস্থায় জঙ্গলমহলে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করা অভিষেকের কাছেও চ্যালেঞ্জ। বিগত কয়েকদিন ধরে জঙ্গলমহলের মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে অভিষেককে। দলে থাকতে অলিখিত যে লড়াই দু'জনের মধ্যে ছিল একুশের জঙ্গলমহল যেন শুভেন্দু ও অভিষেকের মধ্যে তা নতুন করে ফিরিয়ে নিয়ে এল। নন্দীগ্রামে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে সরাসরি লড়ছেন শুভেন্দু। আর জঙ্গলমহল কার? এই প্রশ্নে আবার যেন সম্মুখ সমরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে একদিকে অভিষেক ও অন্যদিকে শুভেন্দুকে।