বিজেপি শাসিত রাজ্যে মেয়েরা সুরক্ষিত নয়। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মত রাজ্য থেকে বারবার আসে নারীদের ওপর অত্যাচার , ধর্ষণের মত ঘটনা। ভোট প্রচারে বারবার গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে এই তোপ দাগছে তৃণমূলনেত্রী। সেইসঙ্গে তৃণমূলের ইস্তেহারে মেয়েদের জন্য আরও স্কুল-কলেজ তৈরির ঘোষণাও করে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মত রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি আগামী দিনেও চলবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। নারীদের উন্নয়নকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তাই এরাজ্যে মহিলা ভোটব্যাঙ্কের এতটা বড় অংশই রয়েছে তৃণমূলনেত্রীর দখলে। এবার সেই ভোটব্যাঙ্কেই থাবা বসানোর পরিকল্পনা নিল গেরুয়া শিবির। বিজেপির সংকল্প পত্রে বাংলা নারীদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রবিবার ইস্তেহার প্রকাশ করতে গিয়ে অমিত শাহ প্রথমেই বড় চমক দেন। জানিয়ে দেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্য সরকারি চাকরিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ হবে। এখানেই থেমে থাকেনি অবাক হওয়ার পালা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিজেপির ইস্তেহারে মেয়েদর জন্য কী কী রাখা হয়েছে।
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মহিলাদের অবস্থা তুলে ধরে প্রতিদিনই সুর চড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভা থেকে মহিলাদের হাতা-খুন্তি নিয়ে বিজেপিকে প্রতিরোধের উপায়ও বাতলাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী । রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপিকে রুখতে এবারের ভোটে একচেটিয়া মহিলা ভোটেই নজর দিয়েছেন মমতা। এবার ইস্তেহারে মমতার সেই অস্ত্রেই যেন আঘাত হানতে চাইল বিজেপি। এবার বাংলার ভাবাবেগ জাগিয়ে তুলতে তৃণমূল প্রচারে মন্ত্র করেছে 'বাংলা নিজের মেয়েকে চায়'। ইস্তেহারে বাড়ির মহিলাদের 'পকেট মানি' দেওয়ার কথাও বলেছেন নেত্রী। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলার মেয়েদের জন্য জনমোহিনী সব প্রতিশ্রুতি ও প্রকল্প নিয়ে বিজেপি যেন বুঝিয়ে দিতে চাইল মহিলাদের গুরুত্ব দেওয়ার ব্যাপারে তারা কোনও ভাবেই পিছিয়ে নেই। শিক্ষা থেকে চাকরি, সংরক্ষণ থেকে স্বাস্থ্য- সব ক্ষেত্রেই মহিলাদের অগ্রাধিকার দিয়ে শাহ যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন একুশের ভোটে নারীশক্তিই পাখির চোখ গেরুয়া শিবিরের।