স্বাধীনতার সময় যেমন ছিল, তার থেকে খারাপ হয়েছে বাংলা। দাবি করলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, সোনার বাংলা গড়ব। দেশের গর্ব ছিল যে বাংলা নিয়ে, তা ফিরিয়ে আনব। আমাদের আশীর্বাদ দিন, সমর্থন করুন। গুন্ডাদের ভয় পাবেন না। নির্বিঘ্নে ভোট হবে।
বিজেপির ইস্তাহার কী আছে, আমি নিজে তা দেখেছি। আমি বেনিয়া, আমার ওপর ভরসা করুন। রাজ্যের সরকারি চাকরিতে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ, পিএম কৃষক সম্মান ৭৫ লক্ষ কৃষককে দেব, ব্যাঙ্কে সরাসরি। মৎস্যচাষীদের বছরে ৬ হাজার টাকা। আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় সবাই গরিব সুবিধা পান, তা প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেব। অনুপ্রবেশ পুর বন্ধ, সিসিটিভি-তে থানায় নজরদারি। সব অনুষ্ঠান পালন করা যাবে। তার জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হবে না। শরণার্থীরা যাঁরা এখানে রয়েছেন ৭০ বছর ধরে, অনেক ব্যথা নিয়ে, প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কেজি থেকে পিজি- লেখাপড়া বিনা খরচে। গণপরিবহণে মহিলাদের নিখরচায় যাতাযাতের ব্যবস্থা। উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহল, সুন্দরবনে তিন এইমস। পরিবারের একজনকে রোজগারের দায়িত্ব। সরকারি কর্মীদের সপ্তম বেতন কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন, সেই ব্যবস্থা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরস্কার এবং সত্যজিৎ রায় পুরস্কার, এগুলি আন্তর্জাতিক মানের। দলিত, আদাবাসী কন্যাদের আর্থিক সাহায্য। ৯ মহিলা পুলিশ ব্য়াটেলিয়ন। প্রান্তিক কৃষকদের ছেলেমেয়ের লেখাপড়া নিখরচায়। মৎস্যজীবীদের যন্ত্রচালিত নৌকো দেব। যা মমতা দি ঘোষণাই করেছেন, কাজে করেননি। মুর্শিদাবাদে রেশম গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা হবে। আশা কর্মীদের ৬ হাজার টাকা মাসিক ভাতা, ২০২৫ সালের মধ্যে মেডিক্যাল, নার্সিং সিট দ্বিগুণ। ১০ হাজার স্টার্ট আপ। প্রতি ব্লকে নেতাজি বিপিও। কুরমালি, সাঁওতালি, রাজবংশী স্কুল। সরকারি চাকরির জন্য একটিই কেন্দ্রে ব্যবস্থা। আমফান, বুলবুলে ত্রাণ দুর্নীতি ধরতে এসটিএফ। রাজনৈতিক হিংসা তদন্তে ব্যবস্থা, নিহতদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। রাজ্য হুইসল ব্লোয়ার আইন আনব, তাদের নিরাপত্তা দেব। ৪ মেগা ফুড পার্ক, ১ চা পার্ক তৈরি করা হবে। ১,৫০০ কোটি টাকার তহবিলে পাট শিল্পে আধুনিকীকরণ হবে। ১৫ দনেই ব্যবসার সুযোগ। সিঙ্গল উইন্ডো ব্যবস্থা। সিঙ্গল উইন্ডো মানে ভাইপো উইন্ডো না! ৬৭৫ কিলোমিটার নেতাজি এক্সপ্রেসওয়ে, কলকাতা-শিলিগুড়ি। বাগডোগরাকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করব। বিধবা ভাতা ১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার টাকা। গঙ্গাসাগর মেলায় ২৫ হাজার কোটি,সেটিকে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে। পুরোহিতদের ৩০ হাজার টাকা ভাতা, তৈরি হবে পর্ষদও। রাষ্ট্রসঙ্ঘে বাংলা ভাষা সরকারি করার জন্য উদ্য়োগ নেব। কলকাতায় সোনার বাংলা সংগ্রশালা। ২৩ জানুয়ারি পরাক্রম দিবসে দেশে পালন করা হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিভা হাট। দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দেব। যাতে সবাই দেখতে পান। সবাইকে বাংলায় পড়তে হবে, দশম শ্রেণী পর্যন্ত। কলকাতা আন্তর্জাতিক সিনেমা উৎসব। বাংলাকে পর্যটন হাব। ৯টি পর্যটন সার্কিট। হসপিটালিটি ক্ষেত্রে ৫০ লক্ষ ঋণ। ৫টাকায় ক্য়ান্টিন দিনে তিনবার খাওয়ার ব্যবস্থা। রেশনে ১ টাকা কেজি চাল। কালীঘাট আদিগঙ্গা সংস্কার।
তিনি বাম এবং তৃণমূলের সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, আজ বাংলা মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়। বিদ্যাসাগরের ভূমিতে আজ যুবকেরা হতাশ। ১০ বছরে এখানকার মুখ্যমন্ত্রী তোষণের রাজনীতি চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন। তিনটে কাজ করেছেন মমতা প্রশাসনের পুরো রাজনীতিকরণে, রাজনীতিতে অপরাধ, দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক করে তুলেছেন। রাজনৈতিক হিংসা চরম জায়গায় পৌঁছেছে।
বিজেপির সরকার তৈরি হওয়ার পর ইস্তাহারের গুরুত্ব তৈরি হয়েছে। দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর আরও দাবি, এখন সরকার ইস্তাহারের ওপর তৈরি হয়। এটা বিজেপি দেখিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ঘোষণাপত্রের বদলে আমরা সঙ্কল্প বলি। কী করে সোনার বাংলা গড়ব, তা বলা রয়েছে। এটা শুধু ঘোষণা নয়। এটা সঙ্কল্প। বাংলার মানুষের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিয়েছি। বাড়ি গিয়ে, টুইটারে, বাক্স নিয়ে মতামত নিয়েছি। সোনার বাংলা গড়ার আধার। অনেক কিছুতেই এগিয়ে ছিল বাংলা। আজকের স্বাধীন, প্রগতিশীল ভারত পশ্চিমবঙ্গে লুকিয়ে ছিল।
বক্তৃতা শুরু করলেন অমিত শাহ।
বাংলাকে কী ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তার পরিকল্পনা রয়েছে। বললেন দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান, সব বিধানসভায় গাড়ি ঘুরেছে। মানুষের মতামত নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ইস্তাহার।
বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে তৃণমূল, সিপিআইএম, কংগ্রেসকে তুমুল আক্রমণ করল দল। তাদের দাবি, বাংলার মানুষ ডবল ইঞ্জিন সরকার চায়।
বিজেপির ইস্তাহার 'সোনার বাংলার সঙ্কল্পপত্র'। প্রকাশ করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাঙ। বিধাননগরের ইজেডসিসি-তে এই উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ দলের নেতারা।