scorecardresearch
 

ব্য়ারাকপুরে ছেঁড়া হল মমতার পোস্টার, এলাকায় তুলকালাম, অভিযুক্ত BJP

তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়া, পুড়িয়ে দেওয়া হল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মোহনপুরে এমনই অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত বিজেপি। তারা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা দায় ঠেলেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে।

Advertisement
পুড়িয়ে, ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ব্যানার। দেখাচ্ছেন স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরা। রবিবার ব্যারাকপুরে। ছবি: দীপক দেবনাথ পুড়িয়ে, ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ব্যানার। দেখাচ্ছেন স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরা। রবিবার ব্যারাকপুরে। ছবি: দীপক দেবনাথ
হাইলাইটস
  • তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়া, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে
  • উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মোহনপুরে এমনই অভিযোগ উঠেছে
  • অভিযুক্ত বিজেপি। তারা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন

তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়া, পুড়িয়ে দেওয়া হল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মোহনপুরে এমনই অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত বিজেপি। তারা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা দায় ঠেলেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জাফরপুর পঞ্চানন পাঠাগার এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানার পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের উদ্যোগে দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নোয়াপাড়া বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সনের ছবি দেওয়া 'দিদিকে বলো' ও 'দুয়ারে সরকারের' ব্যানার লাগানো হয়েছিল।

সেই ব্যানার গতকাল শনিবার রাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকাও আগুনে পুড়িয়ে ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তৃণমূলের তরফে গোটা ঘটনাটি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে টিটাগড় থানার পুলিশ। 

রবিবার এর তীব্র নিন্দা জানান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মিঠু চ্যাটার্জি। তিনি জানান, আমাদের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সব্যসাচী বিশ্বাসের নেতৃত্বে দুয়ারে সরকার-এর কিছু ব্যানার-পোস্টার আমরা লাগিয়েছিলাম। সেগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আমাদের অভিযোগ বিরোধী দলের দিকে। কারণ বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের উন্নয়নমূলক কাজে তারা বাধা দিচ্ছিল। গতকাল রাতে আমাদের দলের ছয়টি ব্যানার পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বেশ কিছু ফ্ল্যাগ খুলে নিয়ে গেছে। এই কাজ করে বিজেপির কি লাভ হচ্ছে তা আমাদের জানা নেই।

অন্যদিকে, ঘটনার সঙ্গে বিজেপির যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা গৌড়চন্দ্র বিশ্বাস। তাঁর দাবি, এটা বিজেপির সংস্কৃতি নয়। আমাদের দলের তরফ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তৃণমূলের অধিকৃত দেওয়ালে যাতে হাত না দেওয়া হয়। তাই এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কর্মীরা কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। এটা সম্পূর্ণভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

Advertisement

 

Advertisement