টিকিট নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিজেপির কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও দল ছাড়ার সিদ্দান্ত নিয়েছেন। তিনি কলকাতা জোনের সহ-আহ্বায়ক।
রবিবার বিজেপি তাদের দ্বিতীয় দফার প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে। শোভন বেহালা পূর্বের বিদায়ী বিধায়ক। তাঁকে দল সেখান থেকে টিকিট দেয়নি। সেই ক্ষোভ থেকে তিনি দলের সব পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বেহালা পূর্বে দল দাঁড় করাচ্ছে অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে।
শোভন চট্টোপাধ্য়ায় দীর্ঘদিন বেহালা পূর্বের বিধায়ক। তিনি দীর্ঘদিন কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরও। ছিলেন কলকাতার মেয়র, রাজ্যের মন্ত্রী। তবে সে সব ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। উল্লেখ্য, বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন শোভনবাবুর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্য়ায়।
বেশ কিছুদিন শোভন নতুন দলের কোনও পদে ছিলেন না। তবে পরে তাঁকে কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক পদের দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপি। সেই সঙ্গে তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁকে কলকাতা জোনের সহ-আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।।
বিজেপি সূত্রে খবর, কলকাতা জোনে রয়েছে ৭টি লোকসভা কেন্দ্র। সেগুলি হল কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, ব্যারাকপুর, দমদম, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর এবং জয়নগর।
কলকাতা জোনের মোট চারজন পদাধিকারী নামকরা নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। এর মধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায় পর্যবেক্ষক। আহ্বায়ক পদে আনা হয়েছে দলের যুবনেতা দেবজিৎ সরকারকে। সহ আহ্বায়ক হয়েছেন দু'জন। তার মধ্যে একজন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যজন তৃণমূল থেকে আসা আর এক নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার পর তিনি কোনও পদে ছিলেন না। তবে বিজেপি বারবার বলেছিল, তার সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগানো হবে। তিনি তৃণমূলে থাকার কলকাতার মেয়র, রাজ্য়ের মন্ত্রী ছিলেন। দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দায়িত্বেও ছিলেন। নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসেছিলেন কলকাতায়। তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।