ফের অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। আর এই জঙ্গি প্রবেশ করছে মালদা মুর্শিদাবাদ সহ বেশ কয়েকটি জেলার উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে। অনুপ্রবেশকারী মদত দিচ্ছে তৃণমূল।
কী অভিযোগ দিলীপের
মঙ্গলবার দুপুরে বিজেপির একটি জনসভা উপস্থিত থাকবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার রাতে তিনি মালদায় এসে পৌঁছান। এদিন সকালে শহরের সিঙ্গাতলা এলাকায় চা চক্রের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এদিনের এই অনুষ্ঠানে তৃণমূল থেকে বেশ কয়েকজন দিলীপবাবুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এখন দিদির ভাইয়েরা উল্টো সুর গাইতে শুরু করেছেন। দলে দুর্নীতি এতটাই বেড়েছে যে আর এই দলে ভদ্রলোকেরা থাকতে চাইছেন না। যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসতে চান, তাদের স্বাগত জানানো হবে।
আরও পড়ুন, 'পড়শি রাজ্যে পড়াশোনারত ওদের ছেলেমেয়েদের গায়েব করতে পারি,' বেলাগাম দিলীপ
রাজ্য সরকারকে আক্রমণ
সেইসঙ্গে তিনি আক্রমণের সুরে বলেন, অন্যান্য রাজ্যে সীমান্তবর্তী এলাকা তারকাটা দিয়ে ঘেরা থাকলেও, এই রাজ্যে অনেক সীমান্তবর্তী জায়গায় এখনো রয়েছে তারকাটাহীন ভাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বারবার বলা হলেও রাজ্য তা শুনতে চাইছে না। রাজ্য সরকার চায়, এই জঙ্গিরা এরাজ্যে ঢুকে উৎপাত করুক। কারণ এই উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়েই জঙ্গিরা এই রাজ্যে ডুকছে। জালনোট থেকে বোমা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এই এলাকাতেই নিয়ে আসছে জঙ্গিরা। আর এই জায়গা থেকে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে অশান্ত করছে গোটা দেশকে। এসবের পেছনে মদত রয়েছে রাজ্যের শাসকদলের। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা মুসলিমরা এখন ভোট ব্যাঙ্কে পরিণত হয়েছে শাসকদলের। তাই সীমান্তবর্তী এলাকা তারকাটা দিয়ে ঘিরতে আপত্তি রাজ্য সরকারের। রাজ্য পরিবর্তনের পর সব বদলে যাবে।
গরু পাচার কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিলেন রাজ্য সভাপতি । তিনি বলেন, সম্প্রতি মালদার দুইজন পুলিশ কর্তা কে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই তলব করেছে । কেন্দ্র সরকারের কাছে সব তথ্যই আছে । শুধু পুলিশকর্মীরাই নয়, এর সঙ্গে যে সমস্ত রাজনৈতিক নেতারা জড়িত তাদের সবাইকেও সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হবে ।