scorecardresearch
 

ভোটের ১৫ দিন আগে বাহিনী মোতায়েন হোক, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি বিজেপির

নির্বাচন শুরুর অন্তত ১৫ দিন আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতয়েন করা হোক। নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে এমনটাই দাবি করল রাজ্য বিজেপি। বৃহস্পতিবার বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে। সেখানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-সহ একগুচ্ছ বিষয়ে কথা বলেন তারা।

Advertisement
ভোটের আগেই বাহিনীর দাবি। ছবি- ইন্ডিয়া টুডে ভোটের আগেই বাহিনীর দাবি। ছবি- ইন্ডিয়া টুডে
হাইলাইটস
  • নির্বাচন কমিশনকে চিঠি বিজেপির
  • ভোটের ১৫ দিন আগে বাহিনী মোতায়েনের দাবি
  • রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ

নির্বাচন শুরুর অন্তত ১৫ দিন আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতয়েন করা হোক। নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে এমনটাই দাবি করল রাজ্য বিজেপি। বৃহস্পতিবার বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে। সেখানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-সহ একগুচ্ছ বিষয়ে কথা বলেন তারা। তারপরে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সঙ্গে স্পর্শকাতর বুথগুলিতে লাইভ ওয়েব কাস্টিং-এরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

রাজ্যে নির্বাচন কমিশন

ইতিমধ্যে রাজ্যে পা রেখেছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। বৈঠক সেরেছে প্রশাসনিক আধিকারিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান, নির্বাচন কমিশনকে আবেদন করেছি। যাঁরা ভয়ের মধ্যে আছেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া। যাতে মানুষ নির্বাচন কমিশনের উপর ভরসা রাখতে পারে। সারা ভারতে ভোট নিয়ে কোনও অশান্তি হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনেও অশান্তি হয়েছে। গুলি চলেছে মানুষ মারা গিয়েছে। ভোটাররা ভোট দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় তাদেরকে সুরক্ষা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের যাঁরা দিল্লি থেকে বাইরে থেকে আসবেন, তাঁদেরকে সুরক্ষা দিতে হবে। বুথের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হোক। বুথের বাইরে থাকুক রাজ্য পুলিশ। নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন তা এখন থেকে নিশ্চিত করা হোক।

আরও পড়ুন, প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক দল, দিনভর হাইভোল্টেজ বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ, রাজ্যে ভোটে হিংসা রুখতে তত্‍পর কমিশন

দাবি সেইসঙ্গে পাল্টা দাবি

নির্বাচন কমিশনর কাছে গিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, বিএসএফ সীমান্তবর্তী গ্রামে ঢুকে ভয় দেখাচ্ছে। বলছে, আর কেউ থাকবে না, সীমান্তে আমরাই থাকব। পার্থবাবুর অভিযোগ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যেসব বিএসএফর  দায়িত্বে রয়েছেন তারা একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের উপর তাঁদের আস্থা রয়েছে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন এই তৃণমূল নেতা। 

Advertisement

প্রসঙ্গত, বাংলার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হিংসা কিংবা কোনও প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়েছে, ভোটের সময়ে কোনও ধরনের হিংসাত্বক ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। কোনও জায়গায় সমস্যা সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে শোকজ করা হবে না, সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement