'দিদির দূত' (Didir Dut) নয়, আসলে 'দিদির ভূত'! রবিবার হাওড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)-কে এ ভাবেই বিঁধলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। তাঁর দাবি, সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে। মানুষের জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ওদিকে, পিসি ভাইপো ক্যানেস্তারা পেটাচ্ছে।
এদিন কালে হাওড়ায় বেলেপোলে সিপিআইএম (CPIM)-এর কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে যাদবপুরের বিধায়ক তথা সিপিআইএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, "পেট্রোল, ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষের জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ। ওদিকে ক্যানেস্তারা পেটাচ্ছে পিসি আর ভাইপো। ওটা আমরা বন্ধ করে দেব। রাজ্যে সরকার ভয়ে কাঁপছে। ওদের চুল খাড়া হয়ে যাচ্ছে। সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছে।"
হাওড়ার বেলেপোল থেকে চুনাভাটি পর্যন্ত বাম ও কংগ্রেসের উদ্যোগে এক মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেই মিছিলের এক ফাঁকে সুজনবাবু সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "রাজ্যে সরকার ভয়ে কাঁপছে। কেউ কোনও ব্যাপারে আপত্তি করছে শুনলে চুল খাড়া হয়ে যাচ্ছে। এদের দম্ভ আছে। ক্ষমতার দম্ভ চলছে। ফলে বেধড়ক লাঠিপেটা করছে।"
তাঁর দাবি, নবান্ন অভিযানের দিন ছাত্র-যুবদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ ও ব্যাপক আক্রমণ করেছে। চারশোর বেশি ছাত্র-যুব আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে।
তিনি আরও বলেন, "শুধু ছাত্র-যুব নয়, সরকারের বিরুদ্ধে যে কেউ প্রতিবাদ করলেই, সে তিনি সরকারি কর্মচারীই হন, বা শিক্ষক, দেখা যাচ্ছে সরকার লাফিয়ে উঠছে। এই সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছে।"
ইদানিং খেলা হবে বলে একটি স্লোগান চালু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "খেলা হবে একটা স্লোগান হঠাৎ চালু হয়ে গেছে। এগুলো সব ছক থাকে। যেমন একবার চালু করেছিল, চুপচাপ ফুলে ছাপ। গতবার আরএসএস চালু করে দিল বামের ভোট রামে। অথচ আমরা কেউ বলিনি। আরএসএস চালু করে দিয়েছিল। এবার চালু করে দিয়েছে, খেলা হবে। রাজনীতি কি ছেলেখেলা করার জিনিস?
তাঁর কটাক্ষ, যারা সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা ঘর ভাঙা অথবা ঘর জোড়া এই নিয়ে মত্ত থাকে, তারা মনে করতে পারেন এটা খেলা হচ্ছে। আসলে খেলা হবে নয়, মানুষের লড়াইয়ের জয় হবে।"
দীনেশ ত্রিবেদীর দমবন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে সুজনবাবু বলেন, "উনি এমপি হেরে যাওয়ার পর লোকসভায় ওনার দম কমে গেছে। অতএব রাজ্যসভা। রাজ্যসভাতেও দম কমে গেছে। অতএব দল ভেঙে তিনি এখন বিজেপিতে যাবেন। আমি ওনাকে মনে করিয়ে দিই, দমবন্ধ করে লালকৃষ্ণ আদবানি এবং মুরলী মনোহর যোশী বিজেপিতে বসে আছেন।
সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) আরও বলেন, "তাঁদের কিন্তু দমবন্ধ হয়ে গিয়েছে। উনি সেখানে গিয়ে কি দম পাবেন? দমবন্ধ হয়ে যাওয়া বিজেপিতে উনি যাওয়ার চেষ্টা করছেন। দম যদি নিতে হয় খোলা বাতাসে নিতে হয়। মানুষের পাশে থেকে নিতে হয়। সেই ধক বিজেপি বা তৃণমূলের কারও নেই।"
বাম পরিষদীয় দলনেতা আরও বলেন, পেট্রোল ডিজেল থেকে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষের জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ। ওদিকে ক্যানেস্তারা পেটাচ্ছে পিসি আর ভাইপো। ওটা আমরা বন্ধ করে দেব। আমাদের ব্রিগেড সভা দুরন্ত হবে। মানুষের সভা হবে। এখন 'দিদির দূত' (Didir Dut) কর্মসূচি চালু হয়েছে। কিছুদিন আগে 'দিদিকে বলো' চালু হয়েছিল। এটা 'দিদির দূত' (Didir Dut) নয়, আসলে 'দিদির ভূত' বলে মন্তব্য করেন সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।