দুই প্রাক্তন আমলা লড়াই অন্য মাত্রা এনে গিয়েছে ডেবরাতে। এখানে তৃণমূলের হয়েছে লড়ছেন প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীর। অন্যদিকে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন ভারতী ঘোষ। বিজেপি বনাম তৃণমূলের দ্বন্দ্ব ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনে সব আসনেই মেজাজ চড়া করে দিয়েছে। কিন্তু ডেবরা দুই প্রাক্তন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিককেই লড়াইয়ের ময়দানের নামিয়েছে দুই দল। পাশাপাশি এই আসনে লড়াইয়ে রয়েছেন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত বাম প্রার্থী প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল। পাশাপাশি এই আসনে প্রার্থী দিয়েছে এসইউসিআইও। তাদের হয়ে এই আসনে লড়ছে দীপঙ্কর মাইতি। সুকান্ত দাস নামে এক নির্দলও লড়ছেন এই আসন থেকে। ১ এপ্রিল ডেবরাতে হবে ভোটগ্রহণ।
জনসংখ্যা
২০১১ সালের আদমসুমারি অনুযায়ী ডেবরায় মোট ২৮৮,৬১৯ বাসিন্দা। এর মধ্যে হিন্দুর সংখ্যা ২৫৪,৪৫৯ অর্থাৎ ৮৮ শতাংশ। অন্যদিকে মুসলিম জনসংখ্যা ২৯,৮৩৮ অর্থাৎ ১০ শতাংশ। অন্যান্য ২ শতাংশ।
ইতিহাস
১৯৭৭ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এই আসনটি ছিল সিপিএমের দখলে। ১৯৮৭ সাল থেকে টানা ৫ বার বিধায়ক ছিলেন শেখ জাহাঙ্গির করিম। ১৯৭৭ ও ১৯৮২ তে বিধায়ক ছিলেন সৈয়দ মোয়াজ্জাম হোসেন। তার আগে এই আসনটি ছিল কংগ্রেসের দখলে। ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন কংগ্রেসের রবীন্দ্রনাথ বেরা। ১৯৬৯ সালে ছিলেন বিজয় কৃষ্ণ সামন্ত। ১৯৬৭ সালে বাংলা কংগ্রেসের কে. চক্রবর্তী জয়ী হন ডেবরা থেকে।
আরও পড়ুন, নন্দীগ্রামে মমতা VS শুভেন্দু! জানুন এই আসনটির হাল-হকিকত
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন
তৃণমূল প্রার্থী রাধাকান্ত মাইতি পান ৮৬,২১৫টি ভোট। সিপিএমের শেখ সোরব হোসেন পান ৭৭,৪০২টি ভোট। বিজেপির দিলীপ কুমার রায় পান ৩,৮৯৩টি ভোট।
নজর এবারের নির্বাচনে
বিজেপি কম ভোট পেলেও ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলে এই কেন্দ্রে এগিয়ে যায় গেরুয়া শিবির। সেই সময়ে তৃণমূলের লোকসভা প্রার্থী ছিলেন অভিনেতা দেব। বিজেপির প্রার্থী ছিলেন ভারতী ঘোষ। তিনি হারলেও,বিরাট একটা ভোটব্যাঙ্ক বিজেপির ঝুলিতে নিয়ে আসেন। এমনকি ডেবরা কেন্দ্রেও এগিয়ে যায় বিজেপি। তার ফলস্বরূপ এই কেন্দ্রেই ভারতীকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। অপরদিকে রয়েছে এলাকার ভূমিপুত্র বলে পরিচিত প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীর।